
হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিষ্টেট সরদার মোস্তফা শাহিন কর্তৃক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে গ্রেফতার করার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে সুরাহ না হওযায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এবং কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মুখোমুখি অবস্থান। ভুক্তভোগী যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা অবসর প্রাপ্ত বিজিবি কর্মকর্তা শেখ নুরুল ইসলাম গত বুধবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিরাসনের লক্ষে জেলা প্রশাসক এস.এম. মোস্তফা কামালের উপস্থিতিতে বিকাল সাড়ে ৫টায় মুক্তিযোদ্ধা ভবনে বসাবসি হয়। উক্ত বসাবসি অনুষ্ঠানে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন এবং উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা উত্তেজিত এবং মারমুখি হয়ে উঠলে সভা ভন্ডুল হয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে অবসরণের দাবি তুললে জেলা প্রশাসক এস.এম. মোস্তফা কামাল কোনরুপ নিরসন ছাড়া সভা স্থল ত্যাগ করেন। সভায় জেলা প্রশাসক মহোদয় ছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম ছাড়াও শত শত মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। এ রির্পোট লেখা পযর্ন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার অপসরণের দাবিতে সভা চলছিল। উল্লেখ্য প্রতিবেশী মরিয়মের সম্মতিতে তার জায়গায় পানি ফেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার সন্নিকটে শীতলপুর গ্রামের মরিয়ম বেগম প্রতিবেশি পুলিশ সদস্য আজিমুদ্দিনের নামে গত ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার নিকট অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ সেপ্টেম্বর বেলা আনুমানিক ১২টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী ও নিবার্হী ম্যাজিষ্টেট সরদার মোস্তফা শাহিন পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যেয়ে প্রথমে পুলিশ সদস্য আজিমুদ্দিনকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করে। পরে নুরুল ইসলামের পানি সরানের দেখে তাকে ডেকে এনে পানি সরানোর বিষয়ে জিঞ্জাসা করলে সে ভূল শিকার করার পরে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করে। কাছে টাকা না থাকায় সময় চাওযায় তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করে। পরে গ্রামের উত্তেজিত জনতা বাঁধা দেয় এবং মুক্তিযোদ্ধা অসম্মান দেখতে না পেরে বাড়ী থেকে ৫ হাজার টাকা এনে দিলে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং এ ব্যাপারে ইউএনও অপসারণ দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যরা। কারণ হিসাবে তারা জানান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কিভাবে একজন বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে গ্রেফতার করলেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট গত ৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দিলে বিষয়টি ১২ সেপ্টেম্বর অর্থ্যাৎ বৃহস্পতিবার বিকালে কালিগঞ্জ এসে বিষয়টির ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দেন ।