
সচ্চিদানন্দদে সদয় : আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটিতে ইঞ্জিনভ্যানে চাপা পড়ে আহত ছাত্রী তনুশ্রী (৫) মারা গেছে। রবিবার দিবাগত রাত্র ৩.৩০ টার দিকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়
পূর্ব কাদাকাটি গ্রামের দীলিপ মন্ডলের কন্যা পূর্ব কাদাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্রী তনুশ্রী শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে স্কুল ছুটির পর বাড়িতে ফেরার জন্য স্কুল মাঠ থেকে রাস্তায় উঠছিল। এসময় ফকরাবাদ গ্রামের আমির গাজীর পুত্র আমিনুর তার ইঞ্জিন ভ্যান তনুশ্রীর উপর উঠিয়ে দিলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে খুলনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু। সোমবার তার মৃতদেহ বাড়িতে এনে সৎকার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্কুলের সামনে দিয়ে হলদেপোতা টু প্রতাপনগর রাস্তা চলে গেছে। ব্যস্ততম সড়কটিতে প্রতিনিয়ত শত শত ট্রাক, মাইক্রো, পিকআপ, মটর সাইকেল, ইঞ্জিন ভ্যান, চার্জার ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। একই স্থানে কাদাকাটি পূর্বপাড়া বালিকা বিদ্যালয় ও পূর্ব কাদাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। এখানে সড়কের উপর কোন স্পীড ব্রেকার না থাকায় যানবাহন চালকরা দ্রুত গতিতে চলাচল করে থাকে। ফলে স্কুলের সামনে ছোট্ট বাজার থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ইতিমধ্যে ৭/৮টি মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী স্কুলের সামনের সড়কে স্পীড ব্রেকারের জন্য লিখিত ও মৌখিক ভাবে বারবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দুর্ঘটনা রোধে আপাতত স্পীড ব্রেকার স্থাপনের ব্যবস্থা করতে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।