নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশেষ ভাবে তৈরি চুল্লীতে দৈনিক শতশত মণ কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ চলছে। কলারোয়া সীমান্তবর্তী দক্ষিণ গয়ড়ার আইয়ুব হোসেন আনছারীর বাড়ীর ভিতরে এই চুল্লী স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্তগামী কলারোয়া-
চান্দুড়িয়া সড়কের গয়ড়া মোড়ের উত্তর পাশে সাবেক মেম্বর আইয়ুবের ইটভাটা। এখন অবশ্য স্থানটি ভাটার মোড় নামে পরিচিত। ভাটার মোড় থেকে উত্তরে গয়ড়া বাজারে যাওয়ার রাস্তা। ভাটার মোড় বা কলারোয়া-চান্দুড়িয়া সড়কের ১’শ গজ উত্তরে রামভদ্রপুর সড়কের পশ্চিম গায়ে আয়ুব মেম্বরের দ্বিতল ভবন। এই ভবন কেন্দ্রীক বাউ-ারী ওয়ালের ভিতরে রাইচ মিলের ছদ্মাবরণে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির সাতটি চুল্লী স্থাপন করা হয়েছে। চুল্লী ও ইটভাটার পাশে জনবসতি। চুল্লীর ধোয়ায় এলাকা কুয়াশাচ্ছন্ন। পাশের গাছপালা বিবর্ণ হয়ে পড়ছে। ধোয়ায় রৌদ্র উজ্বল দুপুরে ক্যামেরার ছবি কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এলাকায় পরিবেশ দূষণ চরমে পৌছালেও প্রভাবশালী এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে র্কাও মুখ খোলার সাহস নেই। পাশে
কর্মরত শ্রমিকরা জানায়, নতুন নতুন সাহেব এসে বা-িল নিয়ে চলে যায়। আপনারা মালিকের কাছে যান। তারা সারা বছর কাজ করে রোজগার করতে পারে। এখানে কাজ করে তাদের বা এলাকার বা পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় কি না- কর্মরত
শ্রমিকরা তা জানে না। তবে এব্যাপারে কথা বলার জন্য চুল্লীর মালিককে পাওয়া যায় নি।
চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিকর এই চুল্লীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দরকার বলে জানান। এছাড়া কলারোয়ার হেলাতলায় ঢাকা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে হাওয়া ভাটা। হাওয়া ভাটর উত্তর পাশে কাঠ
পুড়িয়ে কয়লা তৈরির আরো ৮ চুল্লী চালু রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম কলারোয়ায় দুই স্থানে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া সত্বেও চুল্লী চালু রাখা হয়েছে। লিখিত ভাবে ম্যাজিষ্ট্রেট চেয়ে না পাওয়ার কারণে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ বিলম্বিত হচ্ছে।
কলারোয়ায় অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি
পূর্ববর্তী পোস্ট