নিজস্ব প্রতিবেদক: মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কলারোয়ার সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন হয়েছে। ওই মাদ্রাসার ইফতেদায়ী প্রধান ও গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারী পদে ২ নভেম্বর শনিবার পাতানো নিয়োগ বোর্ড বসানো হয়। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের সরসকাটি গ্রামের সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী প্রধান ও গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারি ২টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ইবতেদায়ী প্রধান পদে ৫ জন ও গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারী পদে ৭ জন আবেদন করে। এদিকে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে গবেষণাগার / ল্যাব সহকারী পদে একই ইউনিয়নের জামায়েত নেতা ও একাধিক নাশকতা মামলার আসামী জব্বারের ছেলে জাহিদ হোসেনকে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ও ইবতেদায়ী প্রধান পদে নজরুল ইসলামকে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে পাতানো নিয়োগ সম্পন্ন করা করা হবে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়। অবশেষে বস্তুনিস্ট সংবাদের সত্যতা প্রমাণ করে সংবাদে প্রকাশিত জাহিদ হোসেন ও নজরুল ইসলামকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এ অপকর্মে সহযোগিতা করার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি প্রতিনিধি ড. মো. আবুল কালাম আজাদ ও কলারোয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর মস্তাফিজুর রহমান এক লক্ষ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করে। তবে নিয়োগ বোর্ডের ফলাফল ঘোষণা করার পর প্রকাশিত সংবাদ গুলো দেখিয়ে সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি প্রতিনিধি ড. মো. আবুল কালাম আজাদ ও কলারোয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর মস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। উল্লেখ্য, ইবতেদায়ী প্রধান পদে পাঁচ জন আবেদন করলেও একটি মাদ্রাসার সভাপতি জানান প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি একজন শিক্ষককে জোর করে সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী প্রধান পদে নিয়োগ দিবেন, যা নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
কলারোয়ার সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন!
পূর্ববর্তী পোস্ট