
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের উত্তর ক্ষেত্রপাড়া এলাকায় পৈতৃক জমি জোরপূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক মালির বিরুদ্ধে । এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কলারোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ হুসাইন আহমেদ।
সরজমিনে গেলে মোঃ হুসাইন আহমেদ বলেন, গত ৯ জুন সকাল ৮টার দিকে মোঃ হুসাইন আহমেদ ও বাবা এবং ছোট ভাই নিয়ে বাড়ি থেকে কলারোয়া বাজারে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সিদ্দীক মালির ও তার সদস্যরা মৃত ফকির আহমেদ ছেলে মোশারফ,ওজিয়ার ছেলে মুকুল, তমেজ মোড়ল ছেলে ওজিয়ার,ফটিক গাজীর ছেলে মালেক, মৃত সামাদ ধামাত ছেলে বাবলু ধামাক,সাজদ্দিন মোড়ল ছেলে রবিউল ইসলাম, সিদ্দিকীর ছেলে আবু সাঈদ, নুরুল হুদার ছেলে শফিকুল সহ আরো অনেকে আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সিদ্দিক মালী ও তার লোকজন আমার বাম হাতের মারাত্মক ফোলা জখম করে আমার নিজ মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া আমার মোবাইল ফোন জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।ওই সময় আমার ছোট ভাই ও আমার পিতাকে কিল-ঘুষি সহ বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমাদেরকে মারতে মারতে আমাদের বাড়ীর ভিতরে ঢুকিয়ে গেটের তালা মেরে দেয়।
তিনি আরো বলেন,এই জমি ৫০ বছর আগে ভাগ করা। অংশ হিসেবে চারটি ভাগ হবে, সিদ্দিক একাই দখল করতে চায়। সিদ্দিক আমাকে বলে যে, “বিএনপি ও জামাত নেতাদের দিয়ে তোকে মেরে সরশকাটি বাজারে ঝুলিয়ে দেবো ২০১৩ সালে অনেককে মেরেছি, কেউ কিছু করতে পারিনি আর তোরা কিছুই করতে পারবি না। দেখি তোদের কোন বাপ আছে কি করতে পারে বলিস, তোদের খুন করে লাশ গুম করে দেবে। আমরা কোন উপায় না পেয়ে ৯৯৯ নং ফোন দিয়ে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে পরবর্তীতে সরসকাটি ক্যাম্প ইনচার্জ অফিসার আমাদের বাড়ীতে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে এবং মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন আসামীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে দেয়। পরবর্তীতে সেনা ক্যাম্পে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেনা বাহিনী চলে আসার পরে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বর্তমানে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিদ্দিক মালী বলে, ওই দাগে জমি আমিও পাই আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না, বলে আমি দখল করেছি। তবে মোটরসাইকেল ও মোবাইল ছিনতাই মারধরের ব্যাপারে আমি জানিনা।
কলারোয়া থানার উপ-পরিদর্শক ( এস.আই) আনিসুর রহমান বলে,আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, ওই জমি নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী গিয়েছিল, এক পক্ষ দখল করতে যাচ্ছিল সেনাবাহিনী সেটা বন্ধ করে দেয় ।