আহাদুর রহমান: করোনার প্রভাবে থমকে গেছে সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবসা। ব্যবসায়ীরা জানান করোনায় ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে শো-রুম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এ ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। মূলত ডেকোরেটর, সাউন্ড সিস্টেমের দোকান বন্ধ ও সীমিত পরিসরে মসজিদ চালু থাকায় সাউন্ড সিস্টেমের চাহিদা নেই। সেই সাথে আছে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিরও প্রভাব। অনেকেই করেছেন কর্মী ছাটাই। আবার অনেক কর্মচারীই নিরাপত্তার স্বার্থে চাকরি ছেড়ে চলে গেছে।
ইকো ইলেক্ট্রনিক্স এর সত্ত্বাধীকারী আলহাজ্ব আইউব হোসেন বলেন, সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে ব্যবসা চালু করলেও সাউন্ড সিস্টেমের বেচাকিনি একেবারেই নেই। করোনা সংক্রমনের পূর্বে প্রতিদিন প্রায় ৬-৭টি সাউন্ড সিস্টেম বিক্রি করলেও এখন সপ্তাহে এক থেকে দুইটি বিক্রি হয়। অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বেচা কেনা মোটামুটি চললেও সাউন্ড সিস্টেম বিক্রি প্রায় বন্ধ। সাউন্ড সিস্টেম গুলো কেনে বিভিন্ন ডেকোরেটর, সাউন্ড সিস্টেম যারা ভাড়া দেয় ও মসজিদ গুলো। এখন মসজিদে কিছু সাউন্ড সিস্টেম বিক্রি হলেও বাকিগুলো বন্ধ। অনেকে আবার কোন রকম জোড়া তালি দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগে আমার শো-রুমে ৫ জন স্টাফ ছিল। এখন আছে ৩ জন। বাকিরা চলে গেছে। অপর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা মূলত সিসি লোনে ব্যবসা করি। কিন্তু তিনমাস দোকান বন্ধ থাকায় ঋণ খেলাপির তালিকায় না তুললেও চার্জগুলো আগের মতই আছে।
কবীর ইলেক্ট্রনিক্স এরসত্ত্বাধীকারীজহুরুল কবীর জানান, করোনার প্রভাবে ব্যবসা একেবারেই নেই। মূলত আমাদের ব্যবসাটি চলে মূলত যারা সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া দেয় আর মসজিদ নিয়ে। কিন্তু করোনা চলাকালীন কোন প্রকার ওয়াজ মাহফিল ও সভা-সমাবেশ হচেছনা। ফলে তারাও নতুন সিস্টেম কিনছে না। এছাড়াও রমজান মাসে বেশ কিছু সাউন্ড সিস্টেম বিক্রি হত, যা এবার হয়নি। কিছু সাউন্ড সিস্টেম মসজিদে যেত। কিন্তু মসজিদেও আয় নেই। তাই আমাদের এ ব্যবসাটা প্রায় বন্ধ। এছাড়াও এ ধরনের পণ্যগুলো মূলত চীন থেকে আসে। কিন্তু বর্তমানে পণ্যের রেট অস্বাভাবিক থাকায় আমরাও ঢাকা থেকে পণ্য আনা বন্ধ করে দিয়েছি।
বাগবুল মাইকের সত্ত্বাধীকারী জানান, এখন মাইক খুব একটা ভাড়ায় যায়না। বেশির ভাগ সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
অর্পা মাইক এন্ড ডেকোরেট এর রাজু বলেন, সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া যাচ্ছেনা বললেই চলে। অন্যান্য দিক কমবেশি চললেও এ দিকটা একেবারেই বন্ধ।
এখন কোভিড ১৯ বা করোনার প্রভাব কাটিয়ে পুরনো আমেজে ফিরতে চাইছেন সাউন্ড ব্যবসায়ীরা। তবে ভাড়ায় না যাওয়ায় সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া ব্যবসায়ী ও অনুদান কমে যাওয়ায় মসজিদের জন্য সাউন্ড সিস্টেম কেনা অনেকটাই কমেগেছে।