সকাল বেলা উঠেই আমার হঠাৎ শুরু হাঁচি,
ভেংচি কেটে পড়ল সরে
পাশের বাড়ির চাচি ।
আড় চোখে চায় প্রাণের বিবি
হাঁচছো কেন বলো ?
নাকি তোমার মনে মনে
অন্য কিছু হলো ?
দুপুর বেলা দেখা দিল
শুকনো কাশি খুবই,
বন্ধুরা কয় টেলিফোনে
হাত বারবার ধুবি ।
দুপুর গড়ায় ধীরে ধীরে
গায়েও ভীষণ জ্বর,
অমনি আমি হয়ে গেলাম বউয়ের কাছে পর !
সন্ধ্যা হতেই মা ছাড়া আর
নিচ্ছে না খোঁজ কেহ,
বউ করেছে আমার দেহে করোনা সন্দেহ ।
আমায় রেখে গোপনে সে
হাঁটল বাপের বাড়ি,
ফোনে জানায় খুব শিগগির করবে ছাড়াছাড়ি।
অনেক মানুষ প্রশ্ন করে
ফোনে আমার কাছে,
তুমি নাকি সংক্রমিত
করোনা ভাইরাসে ?
জবাব দেব কী ?
চরম ব্যথা নিয়ে সেসব সাতবেলা ভাবছি …।
জ্বর ও গলা ব্যথার সাথে
কপাল মাথাও টাটায়,
স্বাস্থ্য বিভাগ নমুনা নেয় পরীক্ষাতে পাঠায়।
মা রয়েছেন আমার পাশে
বলেন তিনি, খোকা –
হয়নি কিছুই মিছে মিছে
ভাবিস খালি বোকা।
মায়ের কথায় ধীরে ধীরে
হই স্বাভাবিক আমি,
এই সাধারণ সর্দি কাশি
তাতেই এ পাগলামি ?
বউ পালালেও মায়ের মতোন
আপন আছে কে-বা ?
ধীরে ধীরে সুস্থ হলাম
পেয়ে মায়ের সেবা।
ক’দিন পরে বউ ফিরেছে
রিপোর্ট নিয়ে সাথে,
দামি দামি রান্না করা
খাবারও তার হাতে।
‘সরি’ বলে পাশে বসে
কামড়িয়ে কয় জিভ,
করোনা নেই তোমার দেহে
রিপোর্ট নেগিটিভ।