নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্যামনগরে কথিত মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে মৎস্যঘের অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তভ্য পাঠ করেন কালিগঞ্জের পূর্ব মৌতলা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার এর ছেলে সৈয়দ মোস্তফা আলী আফছার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন শ্যামনগরের ভুরুলিয়া মৌজায় বি আর এস খতিয়ান নং-২০৩, ১৭৫সহ ২৪টি এবং ১২৩৪, ১২৬৫ হতে ২৯টি দাগে মোট জমি ১২.২০ একর সম্পত্তিতে বিগত ২০০১ সাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্যঘের পরিচালনা করে আসছি। উক্ত সম্পত্তিতে আমার ব্যক্তিগত এবং কিছু সম্পত্তি ডিড নেওয়া আছে। আমি একজন নিরিহ শান্তি প্রিয় মানুষ। উক্ত মৎস্যঘের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা মাছ রয়েছে। সম্প্রতি একটি প্রতারক চক্র উক্ত মৎস্যঘের দখলের অপচেষ্টা শুরু করে। ঘেরে থাকা মাছসহ জমির দখলের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অথচ তাদের জমির কোন স্বর্ত্ব নেই ঘেরেও কোন স্বর্ত্ব নেই। এরপর আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার গাজীর পুত্র আবু ইমরান, কালিগঞ্জের দেয়াড়া গ্রামের মৃত শেখ আব্দুর রশিদের পুত্র শেখ জাহাঙ্গীর আলম, গৌরৗপুর মঠবাড়ী গ্রামের মৃত সোনাউল্যাহ এর পুত্র ২০১৮ সালের নাশকতা মামলা (মামলা নং ২৫/২২০) আসামী আমির আলী গাজী, সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্লারডাঙ্গী গ্রামের শেখ শহিদুল ইসলামের কন্যা কথিত মানবাধিকার কর্মী শাহানারা খাতুন, শেখ আব্দুর রশিদের পুত্র শহীদুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানার পরমানন্দকাটি গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র শেখ সেলিম, গত ১১ মে ২০২৩ তারিখে একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী নিয়ে আমাদের মৎস্যঘের প্রবেশ করে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার ঘেরের বাসা ভাংচুর করে এবং ঘেরের কর্মচারীকে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হুমকি দেয়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে করি। যার মামলা নং ২৮/১৮৫। উক্ত মামলায় জামিন গ্রহণ করে আবারো চাঁদার দাবিতে আমাকে প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন কথিত মানবাধিকার কর্মী শাহানারার উস্কানিতে আবু ইমরানসহ অন্যারা আরো বেপরোয় হয়ে উঠেছে। শাহানারা আমার মৎস্যঘেরে প্রবেশ করে বলে“ নিজের কাপড় নিজে ছিড়ে তোদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্ট মামলা দায়ের করবো” মর্মে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তারা যে কোন সময় আমাদের মৎস্যঘের লুটপাটসহ জান মালের ক্ষতি করতে পারে। তিনি কথিত মানবাধিকারকর্মীসহ তাদের সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক নিজের সম্পত্তি এবং জীবনের নিরাপত্তা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কথিত মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে মৎস্যঘের দখল চেষ্টায় মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
পূর্ববর্তী পোস্ট