
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রুপালী ব্যাংক লিমিটেড, কলারোয়া শাখার একটি ফাঁকা চেক ও দুটি নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প আত্মসাৎ ও তা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার শংকরপুর গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল গাজীর ছেলে আঃ রহমান ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী রেজিনা খাতুন একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা, তিনি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনোমি বাগআঁচড়া শাখা হতে ২ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করলে এনজিও কর্তৃপক্ষ একজন চাকুরিজীবী গ্রান্টারের ফাঁকা চেক ও ষ্ট্যাম্প আবশ্যকতায় রেজিনা খাতুন তার ছেলে ও বৌমার সুখের কথা চিন্তা করে রাজি হয় এবং গ্রান্টার ও সিকিউরিটি স্বরূপ রুপালী ব্যাংক লিমিটেড, কলারোয়া শাখার একটি ফাঁকা চেক (হিসাব নম্বর-২৮৮১০১১০০৯৫৫৫, চেক নম্বর- এসবিএ- ৬৯০৪৮৯০) ও দুটি নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প এনজিওর জুনিয়র ফিন্ড অফিসার শুভ্র দেব রায় এর কাছে দেন। খাদিজা বেগমের পুর্ববর্তী ঋণ খেলাপি থাকায় তার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়নি এবং তাৎক্ষণিক উক্ত চেক ও ২টি ষ্ট্যাম্পসহ সকল কাগজপত্রাদি খাদিজার কাছে ফেরত দেন। এরপর থেকে রেজিনা খাতুন তার চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে সময়ক্ষেপণ ও তালবাহানা করছেন। একপর্যায়ে ৫৮ লক্ষ টাকা বসিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করার পায়তারা চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনোমি, নওয়াবেঁকী গণমুখী ফাউন্ডেশন থেকে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে তা ঠিক মতো পরিশোধ না করায় ঋণ খেলাপি সদস্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এছাড়াও এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করে না। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ রয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান, খাদিজা বেগমের এসব প্রতারণার সাথে তার স্বামী চা বিক্রেতা আঃ রহমান সম্পৃক্ত।
এ বিষয়ে খাদিজা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই। তার স্বামী আঃ রহমানের কাছে ৫৮ লক্ষ টাকার উৎস জানতে চাইলে কোন তথ্য বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে পারে নাই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রেজিনা খাতুন সাংবাদিকদের জানান “আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন দ্রুত তদন্ত করে, দোষীদের শাস্তি দেয়। যাতে সমাজে যেন এমন প্রতারকদের আর স্থান না হয়।”