আব্দুর রহমান: সাতক্ষীরা পৌরসভার দৌলতপুর (উত্তরপাড়া) এবং খড়িবিলা (আবাদানী) গ্রামের মধ্যবর্তী খালের উপর উপর বাঁশের সাকো নির্মিত হলেই দুই অঞ্চলের মানুষের সেতু বন্ধনের দ্বার উন্মোচন হয়েছে। মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু এবং ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মারুফ আহম্মেদ সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের দুর্ভোগ থেকে বাচাঁতে এ বাঁশের সাকো নির্মাণের উদ্যোগ নেন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) এ বাঁশের সাকো নির্মাণ কাজ শুরুর মধ্যদিয়ে পৌরসভার দুই ওয়ার্ডের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সাকো নির্মাণের আগে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বাঁশের সাকো নির্মাণ হওয়ায় দৌলতপুর (উত্তরপাড়া) এবং খড়িবিলা (আবাদানী) গ্রামের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। স্কুলের ছেলে মেয়েদের আগে অনেক পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হতো। এখন তারা সহজে এবং হাসিমুখে স্কুলে যেতে পারবে এবং এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে।
খড়িবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, শুকনা মৌসুমে আমরা স্কুলে যেতে পারলেও বর্ষা মৌসুম এলে অতিকষ্টে স্কুলে যেতে হয়। অনেক পথ ঘুরে যাওয়ার কারণে নিয়মিত ক্লাস করতে পারে না। বাঁশের সাকো নির্মাণের ফলে এখন আমরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারবো।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু বলেন, পৌরসভার ৬ এবং ৭নং ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাকো নির্মাণ করার দাবী ছিল দীর্ঘদিনের। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার অর্থায়নে এ বাঁশের সাকো নির্মাণ করা হয়েছে। একটি বাঁশের সাকো দুটি ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলের সেতুবন্ধন হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে পারবে। এতে তাদের দুর্ভোগ কমবে।
৫২ বছর পর বাঁশের সাঁকোয় তৈরি হলো দুই গ্রামের ‘সেতুবন্ধন’
পূর্ববর্তী পোস্ট