

বসন্তপুর নৌ-বন্দর নিয়ে আলোচনা করতে খুলনায় শেখ হেলাল এমপির বাসায় আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম ও এজাজ আহমেদ স্বপন

সেঞ্চুরি একাডেমীর শাক-সব্জী বিতরণ

সেঞ্চুরি একাডেমীর বৃক্ষরোপন অভিযান

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সদ্স্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজারে এজাজ আহমেদ স্বপন

ঢাকা-সাতক্ষীরা-ভোমরা টু কোলকাতা বাস সার্ভিস চালুর আবেদন নিয়ে বিআরটিসির খুলনা বাস ডিপোয় এজাজ আহমেদ স্বপন
আহাদুর রহমান জনি: ছাত্র জীবন থেকেই আধুনিক সাতক্ষীরা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। পরিবারের রাজনৈতিক যোগসূততা থেকে শুরু হয় পথচলা। সেই থেকে এখনও থামেনি তার আধুনিক সাতক্ষীরা গড়ার জন্য ছুটে চলা। আধুনিক সাতক্ষীরা গড়তে কখনো পিছপা হননি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে করোনার করাল গ্রাসে যখন নিম্ন বিত্ত পরিবারগুলো চরম দৈন্যতায় ভুগছিলো তখনই তিনি সেঞ্চুরি একাডেমীর মাধ্যমে তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন। শহর জুড়ে হাজারেরও অধিক পরিবারের মাঝে সবজি বিতরন করা হয়। প্রায় তিনমাস ব্যাপী চলা কার্যক্রমে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিনটন সবজি বিতরণ করা হয়। যার মোট পরিমান তিনশ টনেওর বেশি। এটা শুধু নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে বিরতন হয়নি। পৌছে দিয়েছেন বাড়ি বাড়ি। এরই মধ্যে আম্ফানের আঘাতে জেলা ব্যাপী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তখন টিন বিতরণ ও জেলাব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান পরিচালনা করেন। বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠানে গাছের চারা বিতরন করেন তিনি। শহরের পথচারীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও পৌর এলাকার ৪৬টি মসজিদে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ কার্যক্রম চলমান আছে।
জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজ পদের যথার্থই মূল্যায়ন করেছেন তিনি। বার বার ছুটেছেন দপ্তর থেকে দপ্তরে জেলার শিল্প ও বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ও প্রসারে। যার ফলে বসন্তপুর নৌ-বন্দর পুনরায় চালুর অনুমোদন হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার অর্থনৈতিক অঞ্চলের জায়গা নির্ধারণের নির্দেশনাও এসেছে।
বাবা লাবসা ইউনিয় আওয়ামী লীগের সভাপতি(আমৃত্যু) ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পুরষ্কার প্রাপ্ত নেতা শেক রওশন আহমেদ, বড় ভাই
ডা. শেখ রশিদ আলী ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লগি সাতক্ষীরার সহ-শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক, অপর বড়ভাই শেখ ফারুক আহমাদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। রাজনৈতিক পরিবারে বাবার হাতে ধরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের। ১৯৮৬ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মরহুম মমতাজ উদ্দীনের নির্বাচনী পোস্টার সাটানোর মধ্যদিয়ে রাজপথের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এর তিনবছর পর ৮৯’সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সিটি কলেজ শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ৯১’তে সদর উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ৯২/৯৩ সালে ছাত্রলীগ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক, ৯৪/৯৫সালে জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ৯৬-৯৮সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, ২০০০এ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক, ২০০১-০২এ জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করা কালীন তিনিই প্রথম এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যদের নিয়ে পিতৃভূমি টুঙ্গিপাড়া সফর করেন। এছাড়াও এসোসিয়েশনের ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্নাঙ্গ স্থলবন্দরে বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি প্রেরণ, পূর্নাঙ্গ কাস্টমস্ হাউজ প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়য়ে চিঠি ও এনবিআরে যোগাযোগ করেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর কাজ করছেন সাতক্ষীরা জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন, বসন্তপুর নৌ-বন্দর চালুর জন্য কাজ করা। যার ফলে ইতোমধ্যেই বসন্তপুর নৌ-বন্দর অনুমোদিত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ভোমরা স্থলবন্দরে কাস্টমস্ হাউজ চালুসহ পূর্নঙ্গ বন্দরে রূপান্তরিত হবে। অন্য দিকে সাতক্ষীরা জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জায়গা নির্ধারনের অনুমোদন হয়েছে।
কথা হলে এজাজ আহমেদ স্বপন জানান, সাতক্ষীরার আধুনিক রূপলাভে কাজ করে যেতে চান তিনি। তিনি বিনা স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সুযোগ পেলে সাতক্ষীরার উন্নয়নে আরও বেশি কাজ করার প্রত্যয় তিনি ব্যক্ত করেন।