আমজাদ হোসেন মিঠু, শ্যামনগর থেকে: শাসক আর শাসিত পৃথিবী দুই শ্রেণিতে বিভক্ত। শাসিতের মৌলিক চাহিদা প‚রণ আর রাষ্ট্র পরিচালনা শাসকের অবশ্য কর্তব্য। দুর্ভাগ্যজনক সত্য শাসকের নিজ কর্তব্যের প্রতি অনীহা শাসকের প্রতি শাসিতের দৃষ্টিভঙ্গিতে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করে এসেছে বিগত শতকের শেষ দিক থেকে। যুগে যুগে পরিবর্তন এর বার্তা নিয়ে কেউ না কেউ এগিয়ে আসেন। স্বীয় কর্মে অমর হয়ে থাকেন ইতিহাসের পাতায়। ঠিক তেমন একজন জনবান্ধব মানুষ জগলুল হায়দার এমপি। তিনি ইতিহাসকে লালন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থায় শাসক আর শাসিতের শ্রেণীভেদ বদলে দিতে অগ্রণী সেনানীর ভ‚মিকায় দ‚র্বার গতিতে এগিয়ে চলেছেন। কথা নয় কাজ নীতিতে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে নিরন্তর ছুটে চলেছেন নির্বাচনী এলাকার সর্বত্র।কখনো শ্রমিক বেশে,কখনো চাষার বেশে।কখনো মঞ্চের বজ্র কঠিন বক্তা,কখনো পিতার মত স্নেহে আবার কখনো সন্তানের দায়িত্ববোধ নিয়ে ছুটে চলেছেন গরীব,দুখী,চাষা,মজুরের কাছে। সরকারের ইতিবাচক ভাবম‚র্তি প্রচারে উঠান বৈঠকে মা বোনদের কাছে তুলে ধরেছেন সরকারের সাফল্য,পরক্ষণেই ছ‚টে গেছেন আগামী প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার আদর্শিক জীবনী তুলে ধরতে। দলীয় নেতাকর্মীদের উৎসাহ প্রণোদনাসহ সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধিতে তৃণম‚লের সাথে সার্বক্ষণিক সংযোগে নিজের বাড়ির দুয়ার আর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ২৪ ঘন্টা খোলা রেখেছেন তার নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের সেবা প্রদানের জন্য। রাজনৈতিক সহিংসতা এড়িয়ে শান্তিপ‚র্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতে কঠোর ভ‚মিকা আর প্রভাবমুক্ত প্রশাসনে সুশাসন ও উন্নয়নকে এগিয়ে দিয়েছেন। নিজের মনোনয়ন অপেক্ষা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পুনঃ বিজয়ের লক্ষ্যে প্রতিটি উন্নয়ন কাজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফলক স্থাপন দলীয় আনুগত্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইতিহাসের খ্যাতনামা শাসকদের আদর্শ অনুসরণে দরিদ্রদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রাতের আঁধারে ছুটে গেছেন গরিব, দুঃখী ও অসহায়দের মাঝে। মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তিও উনার স্নেহ বঞ্চিত নন। এরকম বহু দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জগলুল হায়দার এমপি ইতিবাচক ভাবম‚র্তি তৈরি করে প্রমাণ করলেন মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মাঝে।
সাতক্ষীরা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস,এম জগলুল হায়দার এর এম্বাসেডর রেজওয়ানুল আজাদ নিপুন বলেন, শ্যামনগর কালিগঞ্জ (আংশিক)আসনের উন্নয়নের রূপকার জনবন্ধুখ্যাত সাংসদ সদস্য এস,এম জগলুল হায়দার এমপি এলাকায় সমাধান যাত্রায় নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। যাহার মধ্যে রয়েছে “আমার গ্রাম হবে শহর” প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধার সম্প্রসারণ, মাদক ও সন্ত্রাস নির্ম‚লে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ,দারিদ্র্য নির্ম‚লে সামাজিক কর্মস‚চির হার বৃদ্ধি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ পৌরসভা বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও আয় বৃদ্ধিতে কর্মস‚চী সম্প্রসারণ, প্রধান সড়ক ও সংযোগ সড়ক সম‚হের অবশিষ্ট কাজ দ্রæত সমাপ্তি ও গ্রামীণ অবকাঠামোর আওতায় নতুন নতুন সড়ক পাকাকরন,বিদেশে জনশক্তি প্রেরণে কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ,শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিতকরন,পর্যটন শিল্পের প্রসারে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় ইকোট্যুরিজম জোন নির্মাণ,আধুনিক শিক্ষার প্রসারে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ, প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর শ্রেণী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, খোলপেটুয়া নদীর নোওয়াবেকী থেকে পাখিমারা ফেরিঘাট বাস্তবায়ন সহ তাহার নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে কাজ করে চলেছেন দুর্বার গতিতে।
দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এস,এম জগলুল হায়দার এমপি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরে জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু নির্মাণ, সমুদ্রসীমা বিজয়, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, মাতৃকালীন ভাতা প্রদান, দরিদ্রতার হার নির্ণয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদান, জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদান, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চলমান, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইকোনমিক জোন নির্মাণ, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন, বছরের প্রথম দিনে বিনাম‚ল্যে এক কোটি শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ, এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, দেশের বিভিন্ন জেলায় শিল্প পার্ক নির্মাণ, জঙ্গি সন্ত্রাস ও মাদক দমনে সফলতা, গ্রামীন রস্তাঘাট ও কালভার্ট নির্মাণ, বিভিন্ন স্থানে বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, এশিয়ান হাইওয়ে রোড প্রকল্প, সারা দেশব্যাপী বিদ্যুৎ উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, অনলাইন সেবা প্রদান, মাতৃকালীন ছুটি বৃদ্ধি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, বিধবা ভাতা প্রদান, বয়স্ক ভাতা প্রদান, ফ্লাইওভার নির্মাণ, কৃষিতে সফলতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সহ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নম‚লক কর্মকান্ড তুলে ধরেন। পরিশেষে তিনি কবির শুরে বলেন, এই বলে মোর পরিচিতি হোক, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর লোক। এই বলে মোর পরিচিতি হোক, আমি দেশরতœ শেখ হাসিনার লোক, এই বলে মোর পরিচিতি হোক, আমি শ্যামনগর কালীগঞ্জের মা- মাটি মানুষের লোক।