
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের হামলার শিকার মার্কিন ঘাঁটি ইরাকের কাছে হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী। রোববার ইরাকি সেনাবাহিনীকে ঘাঁটিটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে চলতি বছর সাতটি ঘাঁটি হস্তান্তর করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী।
৩ জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি। ৮ জানুয়ারি প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় ইরান। লক্ষ্যবস্তু করা হয় ইরাকের তাজি নামক এ ঘাঁটিকে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ঘাঁটির অবকাঠমোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আহত হন শতাধিক মার্কিন সেনা সদস্য। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র তা কখনো স্বীকার করেনি।
জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘাঁটি ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি ইরাকের সরকারের সঙ্গে জোটের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। বলা হয়, তাজি ঘাঁটি বাগদাদ থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ইরাকি বাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য অন্যতম প্রধান জায়গা।
যৌথবাহিনীর মুখপাত্র ইরাকি কমান্ডার মেজর জেনারেল তাহসিন আল-খাফিজি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইরাকের অন্যান্য জায়গায় স্থাপন করা ঘাঁটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাজি থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে তাজি ঘাঁটিতে থেমে থেমে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা হামলার জন্য এ ঘাঁটিকে বেছে নেয়। আক্রমণ চালায় বিদেশি নাগরিক এবং কূটনীতিকদের উপরও। অব্যাহত হামলার মধ্যে তাজি ছাড়ার ঘোষণা দিল মার্কিন জোট।
মার্কিন স্থাপনায় হামলার জন্য লেবাননের হিজবুল্লাহকে বরাবর দায়ী করেছে আসছে মার্কিন প্রশাসন। হিজবুল্লাহকে সমর্থন দেয় ইরান। গোষ্ঠীটি লেবানন সরকারের জোট সঙ্গী। হামলার তীব্রতা বাড়ে ৩ জানুয়ারি কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর।
জোটের অধীনে আড়াই হাজারসহ মোট ৫ হাজার মার্কিন সেনা ইরাকে রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কাদহিমি। বৈঠকের পর ইরাকি প্রধানমন্ত্রী জানান, ইরাক থেকে মার্কিন সব সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।