
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলায় মৎস্য ঘের মালিকদের মারপিট করে জবর দখল ও ১০ লক্ষ টাকার মাছ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে মামলা দায়ের করা হলেও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে লুটপাট ও হুমকী ধামকী দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শ্রীউলা গ্রামের মৃত নেছার উদ্দীন গাজীর ছেলে ইউনুছ আলী গাজী জানান, তিনি শ্রীউলা মৌজায় বড় পুকুরের পাশে পৈত্রিকসহ ১৮ বিঘা জমিতে ২৫ বছর যাবৎ মৎস্য ঘের করে আসছেন। গত হজ্বের মৌসুমে আমি যখন হজ্বে যাই তখন কোদন্ডা গ্রামের খায়রুল ইসলাম গং কাছে জমি হারি দেই। শ্রীউলা গ্রামের মৃত মহম্মদ আলীর ছেলে মহব্বত আলী গাজীর নেতৃত্বে মৃত মজিদ শেখের ছেলে খায়রুল ও আশরাফুল, মহির উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা, মোস্তফা সরদারের ছেলে সাদ্দাম ও খালিদ অন্যান্য সহযোগিদের নিয়ে গত ১২ মে প্রথমবার মৎস্য ঘের জবর দখল করতে যায়। এব্যাপারে ১৪৫ ধারা মামলা করি। আদালতের আদেশ পালনে ১৬ মে পুলিশ নোটিশ জারী করেন। নোটিশ পেয়ে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ঐদিন ২য় বার মৎস্য ঘেরে জবর দখল করতে যায় এবং মারপিট করে সকলকে ঘের থেকে তাড়িয়ে দিয়ে উক্ত ১৮ বিঘা ঘেরসহ পাশের সাড়ে ৬ বিঘা জমির ছোট দুটি ঘেরও দখল করে নেয়। এবং ঘেরের মাছ লুটপাট করতে থাকে। আমি হজ্ব থেকে ফিরে এব্যাপারে থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ ও জিডি করি। গত ২৮ জুলাই বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পি-৮২০/২৫ (আশাঃ) আশাশুনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দিতে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও জবর দখলকারীরা থেমে থাকেনি। তারা ঘেরের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মাছ লুটপাট করেছে। ঘেরের বাসায় থাকা লক্ষাধিক টাকার মালামাল আত্মসাৎ করেছে। ১৮ বিঘা ঘেরকে ৩ ভাগ করে ৫ বিঘায় মাটির বাঁধ, ৮ বিঘায় নেট ও বাকী ৫ বিঘাও জবর দখলে রেখেছে। এতদিন তাদের হুমকী ধামকীতে আমাদের বাড়ির লোকজন পালিয়ে বাড়ি ছাড়া ছিল। আমি হজ্ব থেকে ফেরার পর থেকে আমরা বাড়িতে ফিরলেও তাদের হুয়কারে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছি। আমরা বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছি। তারা নির্বিঘ্নে লুটপাট ও দখল বহাল তবিয়তে বজায় রেখেছে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।