
বি এম আলাউদ্দীন, আশাশুনি থেকে:
উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্রীকলস ভূমিহীন পল্লীতে উভয়পক্ষের মোধ্যে জমি নিয়ে দখল পাল্টা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কোন মুহূর্তে ভূমিহীন পল্লীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ভূমিহীনরা। সোমবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সদর ইউনিয়নের তহশীলদার রনজিত কুমার মন্ডল ও সার্ভেয়ার অমল কান্তি ঘোষ মিজানের ইন্ধনে সাইনবোর্ড মেরে ভূমিহীন পল্লী উত্তক্ত করে তোলেছে এমনটাই প্রতিপক্ষ সিরাজের অভিযোগ।
সরেজমিন ও বিভিন্ন অভিযোগে জানা গেছে, শ্রীকলস মৌজার এসএ ৫২০ নং খতিয়ানের নদীর চর ভরাটি ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ১৪ একর ৭০ শতক জমি রয়েছে। উক্ত জমির মধ্যে ৫২০ এর বাটা ২৩,২৪,২৫,২৬ ও ২৭ দাগে শ্রীকলস গ্রামে ভূমিহীন সেরাজ সহ ৫ জন ১২ সাল হতে ইজারা গ্রহণ করে দখলে আছে। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী মিজান ও রিজিয়া খাতুন লোভ বা লাভের বর্শ্ববর্তী হয়ে একই খতিয়ানের ৫২০ এর বাটা ৫৬৪ দাগে ২ একর জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত মূলে দাবি করে আসছে।
এদিকে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিভিন্ন আদালতে মিস আফিল ১৬/১২, ১৪/১৩। ৫৬৯/১৩ সহ সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন ২৬৬২১/১৪ নং মামলা দায়ের করেন সিরাজ। কিন্তু সিরাজগংএর কোন স্থায়ী আদেশ আদালত থেকে হয়নি। এ কারণে প্রতিপক্ষ অর্থাৎ সিরাজগং ভূমি আপিল বোর্ডে পুনরায় ১ নং আদালতে মামলা দায়ের করলে উল্লেখিত জমির স্থিতি অবস্থা বজায় রেখে মামলা নথিজাত করা হয়েছে। সে থেকে দীর্ঘ ১১ বছর সিরাজ গং শান্তিপূর্ণ ভাবে দখলে আছে। সব মিলে নদী ভাঙ্গনের কারণে উত্তর পারে মিজান গংএর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তকৃত জমি ছিল। বর্তমানে মিজান সহকারি কমিশনার ভূমি অফিসে তার বন্দোবস্তকৃত জমি বুঝে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পর গত ২০ মার্চ সার্ভেয়ার এবং তাহশীলদার সরেজমিনে তদন্ত করেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান বলেন, সিরাজ গংরা শুধুমাত্র ১২সালে ভুলবশত একবার ইজারা পেয়েছে। এছাড়া বর্তমানে মিজান গাজীর দখলে আছে বলে জানান তিনি। প্রতিপক্ষ মিজান গাজী বলেন, ১৯৮৭/৮৮ সালে রিজিয়া এবং আমি সরকার কর্তৃক চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পেয়েছি। উক্ত জমির দাগ খতিয়ান নদী ভাঙ্গনে চলে যাওয়ায় সরকার পুনরায় আমাকে দখল চিহ্নিত করে দিয়েছে। বন্দোবস্ত পাওয়ার পর দীর্ঘদিন ইট ভাটায় ডিটের মাধ্যমে হারি হিসেবে দেওয়া ছিল। বিগত ২২ সালে নদী খননের পর আমার জমি ভাটা মালিক ছেড়ে দেয়। এছাড়া দেওয়ানী আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়ে বর্তমানে আমার মৎস্য ঘেরে দখলে আছি।
এ ব্যাপারে তহশীলদার রনজিত কুমার মন্ডল বলেন, স্যারের নির্দেশে তপশিল জমিতে তদন্তে গিয়েছিলাম। সাইনবোর্ডের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমার জানার বাইরে।