
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) : আশাশুনি উপজেলার চেঁচুয়া মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ ও অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আশাশুনি প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস।
লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ বলেন, ঢাকা মাদ্রাসা-ই আলিয়ার পদচ্যুত প্রিন্সিপাল আওয়ামী দোসর মাওঃ আঃ রশিদ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে এবং অভিভাবক প্রতিনিধি ও অন্যান্য সদস্যদের অগোচরে ৯ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ফাঁদ পেতে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যে নেমেছেন। মাদ্রাসাটি আনুলিয়া ইউনিয়নের একমাত্র উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত মাদ্রাসার শুভাকাঙ্খি নামধারী ব্যক্তিগন নিয়োগ বানিজ্য সহ নানাবিধ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারনে নিয়মিত কমিটি দ্বারা পরিচালিত না হয়ে এডহক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হতো। মাদ্রাসার কোন প্রিন্সিপাল না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। মাদ্রাসাটিতে ১ম শ্রেনী থেকে ফাজিল পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকলেও কাগজপত্রে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি দেখিয়ে বিভিন্ন উপায়ে সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে মাদ্রাসায় ৭০/৮০ জন শিক্ষার্থীও নিয়মিত নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওঃ ওলিউল্লাহ নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে সম্পূর্ন গোপনে ৪২১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি দেখিয়ে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরী করেছেন। এলাকার অভিভাবক বা কাউকে না জানিয়ে রাতারাতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমানকে প্রিজাইডিং অফিসার বানিয়ে কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে মাদ্রাসার নিয়মিত কমিটি তৈরী করেছেন। অবৈধ কমিটি ৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নামে ২ জুন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার নামে কোটি টাকার মত নিয়োগ বানিজ্য শুরু করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি। নতুন কমিটির একজন ২টি মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পলাতক আছে। অন্য ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ নানাবিধ মামলা রয়েছে। আমরা বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা সঠিক তথ্য না দিয়ে আমাদের পত্রিকা দেখে নিতে বলেন। এলাকার চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ মাওলানা নামধারী আঃ রশীদ ঢাকা মাদ্রাসা-ই আলিয়ার প্রিন্সিপাল ছিলেন। ৫ আগষ্টের পর ঢাকাবাসীর জনরোষে চাকুরীচ্যুত হয়ে তিনি পালিয়ে এসেছেন। সেই দুনিতীবাজকেই মাদ্রাসার সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে একজন ফেরারি আসামী সহ কমিটির অধিকাংশ সদস্য একই পরিবারের ব্যক্তি। তাই অনতিবিলম্বে চেঁচুয়া, মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল পূর্বক অবৈধ অনৈতিক উপায়ে গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আনুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হারুন অর রশিদ, মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি রোকনুজ্জামান, শিক্ষানুরাগী আবু দাউদ সানা, রেজাউল করিম সানা ও আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।