
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির চাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে একটি কক্ষে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ৪টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। মোট ৩০৩ জন ভোটের মধ্যে ১৯৭ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৬টি ভোট বাতিল ঘোষনা করা হয়। নির্বাচনে গাউছুল হোসেন রাজ প্যানেলে সাইদুর রহমান ১৪৩ ভোট, জাহাঙ্গীর হোসেন ১৪১ ভোট, শরিফুল ইসলাম ১২৮ ভোট ও আরিফুল ইসলামকে ১১৩ ভোটে বিজয়ী এবং অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান সভাপতি নজরুল ইসলাম প্যানেলে মোহাম্মদ আলীকে ৭৫ ভোটে ঘোষনা করা হয়েছেন। নির্বাচন পরিচালনা করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লার উপস্থিতিতে অফিস সহকারি গোলাম রব্বানী ও এমএলএসএস শাহানুর ইসলাম। প্রসঙ্গতঃ নির্বাচন চলাকালিন সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরা দেওয়ানী আদালত থেকে ৮৯/২০১৯ নং মামলায় নির্বাচন বন্ধে অস্থায়ী নিষেধাঙ্গা নোটিস নিয়ে নির্বাচন স্থলে পৌছান। প্রধান শিক্ষক এএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের কার্যালয়ে হাজির হলে দু’পক্ষের বাকবিতন্ডতা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতা হাতিতে প্রার্থী মোহাম্মদ আলী, আছলামসহ কয়েকজন হালকা আহত হয়। ততক্ষনে প্রিজাইডিং অফিসার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার হাসানুজ্জামান ও প্রধান শিক্ষক এএসএম মোস্তাফিজুর রহমান অজ্ঞত কারনে মুঠোফোন বন্ধ করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন না। ফলে দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা নির্বাচনে গোলযোগের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রসেস সার্ভেয়ারকে সাথে নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ২.১৫টার দিকে আদালতের নোটিশ গ্রহন করেন। সর্বশেষ নির্বাচন শেষ হলে প্রধান শিক্ষক ও প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচন স্থলে আচমকা হাজির হয়ে ফলাফল ঘোষনা করে পুলিশের সহায়তায় অফিসে ফেরেন। এর আগে মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনে বর্তমান সভাপতি নজরুল ইসলামের পক্ষের মাহবুব আলম ছাক্কি, রিয়াজুল ইসলাম, আছাদুল ইসলাম ও এক মাত্র মহিলা প্রার্থী জরিনা খাতুন অজ্ঞাত কারনে প্রতিপক্ষের লোকের মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।