
সচ্চিদানন্দদেসদয়: আশাশুনি খাজরা ইউনিয়নে ভূমি অফিসে প্রায় সময় কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিস কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। ভূমি অফিসের কোন স্টাফ গতকাল অফিস করতে দেখা যায়নি বলে স্থানীয়রা জানান। সরেজমীনে গেলে ভূমি অফিসে কাজে আসা গোবিন্দ মন্ডল (খালিয়া) ,হারান মন্ডল, সত্য রঞ্জন মন্ডল, দফাদার গোলক বিহারী রায়,গ্রাম পুলিশ শহীদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান জানান, তহশীলদার ইয়াছিন আলী সরকারী অফিসকে নিজের অফিস মনে করে। তিনি টাকা ছাড়া কোন কাজ করেন না। চেক দাখিলা,নাম পত্তনসহ নানাবিধ ভুমি অফিসের কাজের
একটা নিজস্ব রেট আছে তা না দিতে পারলে তার কাজ হয় না। তিনি যোগদানের পর হতে এলাকার সহজ সরল নিরিহ মানুষের কাছ থেকে ভুমি আইনের জটিলতা দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার চাকুরীর সময় সীমা বেশীদিন না থাকায় অনিয়ম দূনীতি আশ্রয় নিচ্ছে। তিনি ৯টার অফিস কখনো ২টায় মন চাইলে অফিস করে মন না চাইলে অফিসে আসেন না। তিনি সারা দিন অফিস বাদ দিয়ে সরকারি কাজ দেখিয়ে অনিয়ম দূনীতি টাকা কোথায় তা খুজতে থাকে। দু’জন অফিস সহায়ক রবিউল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন তারাও তহশীলদার ইয়াছিন আলীর হালে হাল ধরেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি জানান কালিগঞ্জ থানাধীন চাম্পাফুল ভুমি অফিসে যোগদানের পর সরকারের কয়েক লক্ষ টাকার জমি ভূয়া নাম পত্তন করে টাকার বিনিময়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তার যথাযথ প্রমান তাদের কাছে রয়েছে। আশাশুনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাপিয়া আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন নায়েব সাহেব সরকারী কাজে ব্যস্ত আছে। অফিস বন্ধ থাকার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিস সহায়করা অফিসে থাকবে। যদি না থাকে আমি তাদের ব্যবস্থা নেব। তহশীলদারের সাথে ০১৭১১-৯৪২৬৯০ নং মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য এলাকাবাসী বলছে আর মাত্র ১৭ দিন পর তহশীলদার ইয়াছিন আলী অবসরে যাচ্ছেন। তার ব্যাংক হিসাব সহ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি চাকুরীর আগে কি ছিল আর বর্তমানে কি আছে তা খতিয়ে দেখার জন্য দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।