জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা)ঃ আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামে বাড়ি থেকে বের হওয়ার দীর্ঘদিনের পথে মাটি ফেলে বন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও পথ বন্ধের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
বাদী কুল্যা গ্রামের মৃত শামছুর রহমান মীরের কন্যা রানী বেগম জানান, দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছরের ভোগদখলীয় জমিতে আমরা বসবাস করে আসছি। বিবাদী একই গ্রামের মৃত হোসেন আলী সরদারের ছেলে আবুল কাসেম ও লুৎফর রহমান, কাশেমের স্ত্রী করিমন নেছা, লুথফর রহমানের স্ত্রী মাফুজা, মহব্বত হোসেনের স্ত্রী ছবেদা খাতুন প্রতিবেশী। তারা দীর্ঘদিন আমাদের ভিটেবাড়ি জবর দখলের পায়তারা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে আশাশুনি থানায় ১২৩৪ নং তাং ৩০/১১/২০১৯ সাধারণ ডায়রী করি। উক্ত নালিশী সম্পত্তিতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। কিন্তু বিবাদীরা আইনকে তোয়াক্কা না করে গত ২৯ অক্টোবর রাত্র ৭ টার দিকে আমি ও আমার পরিবার বাড়ীতে না থাকার সুযোগে আমার ভিটাবাড়ীতে প্রবেশ পথে মাটি দিয়ে পথ বন্ধ করে রাখে। দুটি গাছ কর্তন করে। আমি জানতে চাইলে বিবাদীরা বলে মাটি ফেলে জমি দখল নিয়েছি। আমরা থানা পুলিশ, আইন আদালত মানিনা। বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে দেবে বলে হুমকী প্রদান করে। ইতিপূর্বে বিবাদীরা আমার ভিটা বাড়ী তছনছ ও শাবল হাতুড়ি দিয়ে প্রাচীর ভেঙ্গে দখলের চেষ্টা করে এবং বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাড়ি ঘর লুটপাটের চেষ্টা করেছিল। যাতয়াতের পথ বন্ধ থাকায় আমরা অবরুদ্ধ হতে বসেছি। অনেক কষ্ট করে পাশের জ্যোৎস্নার জমির পিলারের উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আমি ও আমার ছোট ছেলে ছালমান বিভিন্ন হুমকী ধামকীর ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যাতয়াতের পথ বন্ধ করে জবর দখলের প্রতিকার ও পথ বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন বাদী পক্ষ।

