
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এমপি প্রতিনিধি ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডল এর বিরুদ্ধে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এলাকাবাসীর সম্পত্তি ভোগদখলের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বাসিন্দা সত্যচরণ সরকার, চন্দ্রকান্ত বাছাড় ও আলহাজ্ব মিলন গাজী এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে সত্যচরণ সরকার বলেন, শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটি মৌজায়, আর এস ৭৯১ ও ৭৮৯ নং খতিয়ানে ১২৯, ১৩০, ১৬০, ১৬১, ১৭৭, ১৮২ ও ১৮৪ দাগে মোট ৫ একর ১৫ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৩ একর ২৫ শতক সম্পত্তির মালিক মৃত. এস,এম বসির আহমেদ। বাকী ১ একর ৯০ শতক সম্পত্তির মালিক আমরা। কিন্তু সম্প্রতি আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এমপি প্রতিনিধি শম্ভুজিৎ মন্ডলের গাড়ীচালক বাঁকড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ সরদারের ছেলে সাজ্জাদ মৃত. বসিী আহমেদের ভাইদের কাছ থেকে ৩ একর ২৫ শতক সম্পত্তি ইজারা গ্রহণ করেন। কিন্তু দখলের সময় শম্ভুজিৎ মন্ডল প্রভাব খাটিয়ে তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের ১ একর ৯০ শতক সম্পত্তিও জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ উক্ত সম্পত্তিতে আমাদের ভেড়ীবাধ দেওয়া রয়েছে। সেখানে আমাদের যেতে দিচ্ছে না, এমনকি কোন কাজও করতে দিচ্ছে না। এবিষয় মিমাংশার জন্য স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসি করে সমাধানের চেষ্টা করলেও শম্ভুজিৎ মন্ডলের কারনে তা হচ্ছে না। তিনি প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক দখল বজায় রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আমরা ঘেরে গেলে শম্ভুজিৎ মন্ডল প্রকাশ্যে খুন জখমসহ মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করার হুমকিÑধামকি প্রদর্শণ করে যাচ্ছেন। এই শম্ভুজিৎ মন্ডল গত বছর মিলন গাজীকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও ঘের দখলের হুমকি দিয়ে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে।
ভুক্তভোগি গ্রামবাসীরা আরো বলেন, উক্ত সম্পত্তি এক সময়ে বসীর আহমেদের দখলে থাকলেও তার মৃত্যুর পর আমরা সকলেই দখল বুঝে পেয়ে ভোগদখলে ছিলাম। কিন্তু এমপি প্রতিনিধি শম্ভুজিৎ মন্ডল দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ও সংসদ সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমিদস্যুদের মত আমাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নতি শিখড়ে তখন শম্ভুজিৎতের মত কিছু দখলদার ও চাঁদাবাজদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। নষ্ট হবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সুনাম। যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিজেদের মায়ের মত মনে করেন। সেই নেত্রীর সরকারের স্বর্ণ যুগে শম্ভুদের মত কতিপয় ব্যক্তির কারণে সংখ্যালঘুরা পদে পদে নির্যাতিত হচ্ছে।
তারা ওই এমপি প্রতিনিধি শম্ভুজিৎ মন্ডলের কবল থেকে সম্পত্তি রক্ষা ও মিথ্যে মামলায় হয়রানি থেকে নি®কৃতি পেতে এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।