
সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি,সাতক্ষীরা: আশাশুনিতে নাকতাড়া সার্বজনীন কালী মন্দির কেন্দ্রিক ইউপি চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকর খবরের প্রতিকারে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নাকতাড়া সার্বজনীন কালী মন্দির কমিটির সভাপতি ধর্মদাশ মিশ্র আশাশুনি প্রেসক্লাবে লিখিত ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে সুপরিচিত। আমরাও শ্রীউলা ইউনিয়নের মুসলিম, হিন্দু ও অন্যান্য জাতির মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সকলে এক সাথে মিলে মিশে বসবাস করে আসছি। কিন্তু, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, একটি কুচক্রিমহলের ইন্দনে আমাদের সম্প্রীতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে উক্ত মন্দির কেন্দ্রীক সাতক্ষীরা ও যশোরের কয়েকটি পত্রিকায় শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলকে জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে উস্কানিমূলক খবর প্রকাশ করিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুহেনা সাকিল ও আমাদের ভাবমুর্তি নষ্ট করেছে। ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শে তার লোকজনকে সাথে নিয়ে আমারা মন্দির কমিটি যৌথ ভাবে সংবাদ সন্মেলনে জানাচ্ছি, প্রকৃতপক্ষে, নাকতাড়া সার্বজনীন কালীমন্দিরের জমি আদালতের রায় পেয়ে গত শুক্রবার সকালে আশাশুনি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এলাকার সকল শ্রেনী ও পেশার লোকজনকে সাথে নিয়ে মন্দিররের প্রাচীর নির্মান ও সংস্কার করতে থাকি, যার বাকী কাজ অব্যহত রয়েছে। কিন্তু, প্রকাশিত সংবাদে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলকে জড়িয়ে মন্দির কেন্দ্রীক সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে উস্কানিমূলক খবর প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে চেয়ারম্যানের পিতা প্রয়াত চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকী ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে তিনি ছিলেন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের আশ্রয়স্থল। তার পুত্র সাকিল ও তদরুপ সবসময় আমাদের পাশে থেকে সহায়তা করে চলেছেন। একটি কুচক্রি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে তাদের কুপরামর্শে কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ তাদের ও সাংবাদিকের নিজস্ব মতামত। আমরা মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত সংবাদের সাথে একমত নই বরং সংবাদের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও প্রতিকার জানাচ্ছি। মন্দির কমিটির সভাপতি ধর্মদাশ মিশ্র সহ উপস্থিত পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে সাংবাদিক মহলের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানান। এ সময় যৌথ সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ও পরামর্শ দেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নীল কন্ঠ সোম, সম্পাদক রনজিৎ কুমার বৈদ্য, আ’লীগ নেতা মিজানুর রহমান, আবু জাহিদ সরদার, মন্টু মন্ডল, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সঞ্জয় মিশ্র, মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক তপন কুমার মণ্ডল, বিবেকানন্দ সরকার প্রমূখ।