
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে দোকান, মৎস্য ঘের ও বাড়িতে লুটপাট, চুরির অভিযোগ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গ লিখিত ও ভিডিও বক্তব্য দিয়ে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ৫আগষ্ট পরবর্তী সময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা অঘটনের খবর শোনা যায়। ক্রমে ক্রমে বেশ কিছু খবর পত্রপত্রিকা ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। কিছু কিছু ঘটনা নিয়ে থানা, আদালতে অভিযোগ ও মামলা হয়েছে। এসব ঘটনার পেছনে কোন কোনটিতে যেমন সত্যতা পাওয়া গেছে, আবার কোন কোনটির মধ্যে মিথ্যার সন্ধানও মিলেছে। তাছাড়া অনেক ঘটনাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রের প্রলেপে আচ্ছাদিত করে উপস্থাপনের মত নজিরও মিলছে। আনুলিয়া ইউনিয়ন নিয়ে আলোচনার খোরাক হিসাবে মাঝে মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। বিগত সরকারের আমলে ব্যাপক আলোচনায় পরিনত হয়েছিল এই ইউনিয়ন। সেখানে সত্য খবরের পাশাপাশি মিথ্যার সংমিশ্রন দেখা গিয়েছিল। বর্তমানে আবারও আনুলিয়া ইউনিয়নকে আলোচনায় আনার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। তবে দু’ একটি পত্রিকায় শোভা পেয়েছে খবর গুলো। খবরের সুত্র ধরে একদল সাংবাদিক মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে এসেছেন। খবরে যে সব মানুষগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ তৈরি করা হয়েছে প্রথম পর্বে তাদের কয়েক জনের বক্তব্য পত্রস্থ করা হলো। দঃ একসরা গ্রামের আব্দুল সানার ছেলে আকবর সানা জানান, ৬ আগস্ট রাতে আমার দোকান থেকে ২৫ টি স্যালো মেশিন নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছকে জানালে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মেশিনগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এ ঘটনা রঙ মাখিয়ে চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের ভাই মিনুকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালান হয়েছে। যা দেখে তিনি হতবাক হয়ে গেছেন। গোকুলনগর গ্রামের হাজী সুজাউদ্দীনের ছেলে ইউনুছ আলী গাজী জানান, আমার ১২ বিঘা জমির মৎস্য ঘের চেয়ারম্যান ও মিনুকে জড়িয়ে লুটপাটের যে অপপ্রচার করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। আমি আমার ঘেরে দখলে আছি ও মাছ চাষ করে আসতেছি। কোন লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। বিছট গ্রামের মৃত সবুর সরদারের ছেলে শাহিনুর জানান, বাজারে আমার মোবাইলের শো রুম আছে। চেয়ারম্যান সাহেব যথাসাধ্য চেষ্টা করে সহযোগিতা করেছেন। কোন সাংবাদিক আমার সাথে কথা বলেনি। আমার উদ্ধৃতিতে অপপ্রচার সম্পুর্ণ মিথ্যা। দঃ একসরা গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্টের পরবর্তীতে আমার কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমি কোন বিবৃতিও দেয়নি। আমার উদ্ধৃতি দিয়ে যে অপপ্রচার করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। একই গ্রামের আলহাজ্ব সুন্দর আলী গাজীর ছেলে সাহেব আলী জানান, কুদ্দুছ ও মিনু বাহিনী বেপরোয়া সংক্রান্ত প্রচারণা ভিত্তিহীন। ৬ আগস্ট রাতে কে বা কারা আমার ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি গরু উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালান। কোন সাংবাদিক আমার সাথে কথা বলেনি। যে প্রচারণা চালান হয়েছে তা মনগড়া বলে তিনি তীব্র নিন্দা জানান।