
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে বসতভিটার জমি জবর দখল করে ঘর নির্মান করার প্রতিকারের দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। রবিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে আশাশুনি প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের সফর আলী, আঃ মোমিন, আঃ সালাম, আবদার আলি লিখিত বক্তব্যে জানান, কচুয়া মৌজায় ডিপি ৮৩১ খং ও আরএস ৮৩১ খতিয়ানে ০.৩৪ শতক জমি আবু বক্কর সরদার দখলিকার ছিলেন। তিনি প্রায় ১৬ বছর পূর্বে মারা যান। তিনি ও পরবর্তীতে তার নাতি ছেলে মোস্তাক ও পোতা সফর আলী বসতবাড়ি বেধে ৬০ বছরাধিককাল জমিতে বসবাস করে আসছেন। সেখানে ঘরবাড়ির পাশাপাশি গাছগছালি, পুকুর ও প্রয়োজনীয় অনেককিছু রয়েছে। কিছুদিন আগে পুরোহিতপুর গ্রামের বিবাদী মৃত মোছেল উদ্দীন সরদারের ছেলে সুলতান, ইলিয়াস ও ইদ্রিস, ইদ্রিসের ছেলে ইব্রাহিম, ইলিয়াসের ছেলে মনিরুল ও কবিরুল, সুলতানের ছেলে বাবলুদের সাথে জমিনিয়ে মনোমালিন্য হলে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অভিযোগ করে মোস্তাক দিং। চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে দু’পক্ষের কাগজপত্র নেন ও কথা শোনেন। তিনি শুনানী শেষে কাগজপত্র রেখে দিয়ে বলেন তিনি কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে প্রতিপক্ষ ১৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে অনুমান ৩ টার দিকে ভিটেবাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে বহু লোকজন নিয়ে ঘরবাধতে শুরু করেন। এসময় মোস্তাকদের ঘরের দরজায় বাইরে থেকে আটকে দেওয়া হয়। তারা ঘরথেকে বেরুতে পারেনি এবং পরবর্তীতে বের হয়ে দেখেন ততক্ষণে তাদের ঘরের পাশে বাঁশের খুঁটির উপর টিনের ছাউনি দিয়ে ঘরের কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়ে থানায় খবর দিলে এসআই মুহিতুর রহমান ঘটনাস্থানে পৌছে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এবং উভয় পক্ষকে পরে নোটিশ করে থানায় বসে ফয়সালা করা হবে জানিয়ে যান। পুলিশ চলে যাওয়ার পর তারা ঘরের কাজ করে যাচ্ছে। বাঁধা দিতে গেলে মারধরসহ রক্তক্ষয়ের শঙ্কা করছেন তারা। এখন তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।