আশাশুনি প্রতিবেদক: বিভিন্ন জেলা থেকে করোনা রোগী পালিয়ে আশাশুনিতে আসছে। ফলে আশাশুনি উপজেলাবাসী অনিরাপদ পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে। রবিবার ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে যশোর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসা রোগি প্রতাপনগর গ্রামে পৌছায়। এরআগেও কয়েকজন রোগি আশাশুনিতে আসার ঘটনা ঘটেছে।
আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা অনেকে দেশবিদেশে চাকরী বা কাজের সন্ধানে অবস্থান করে থাকেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর শহরে বা সেই এলাকায় না থেকে পালিয়ে এলাকায় ফিরে আসছে। ফলে আসার পথে ও বাড়িতে ফেরার পর কারো না কারো সংস্পর্শ, স্বাস্থ্য বিধি অমান্যের ফলে কেউ সংক্রমিত হচ্ছে কিনা বলা মুশকিল। বাড়িতে ফেরার পর স্বাস্থ্যবিধি মানছে কিনা এনিয়ে রয়েছে সংশয়। শুক্রবার যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রতাপনগর গ্রামের রবিউল ইসলামের পুত্র করোনা আক্রান্ত মিলন হোসেন (৩২) পালিয়ে চলে আসে। গত সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বুধহাটায় ফিরে এসেছিল। এরআগে বিগত বছরে অনেকগুলো এমন ঘটনা ঘটেছিল।
এব্যাপারে প্রশাসনসহ সকলকে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা দরকার। যেসব পরিবারের সদস্যরা বিদেশে বা দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ও শ্রমিক হিসাবে রয়েছে, তাদের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য পরিবারের সদস্যদের সজাগ করা দরকার। যাতে তারা করোনা আক্রান্ত হলে স্ব-স্ব স্থানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে, কিংবা স্বাস্থ্য বিধি মেনে এলাকায় ফেরে সে জন্য উদ্বুদ্ধ করা দরকার।