বি এম আলাউদ্দীন, আশাশুনি থেকে: আশাশুনিতে নারিকেল পাড়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক গোলযোগে একই পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটায় উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের মাঝের বড়দল গ্রামে। আহতরা হলেন গফুর গাজীর ছেলে শহীদুল গাজী (৬৫), মা জবেদা (৮০), প্রথম পক্ষের ছোট ছেলে জয়নুল আবেদীন ও তার স্ত্রী টুম্পা খাতুন (২০)। এর মধ্যে পিতা শহীদুল গাজীকে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন-দুপুরে গাছের নারিকেল পাড়াকে কেন্দ্র করে বৌমা এসে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা খাতুনকে মারপিট শুরু করে। আমি ঠেকাতে গেলে বৌমা ও ছোট ছেলে জয়নুল এসে আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে। অপরদিকে জয়নুল জানান-৩ বছর আগে আমার কেনা সম্পত্তির (দাতা- শফিকুল গাজী, পিং মৃত কাবিল গাজী, সাং-মাঝের বড়দল, মৌজা বড়দল, দলিল ৭১৩, ২২ শতক, তাং- ২৭/২/২০২০) নারিকেল গাছ থেকে নারিকেল পাড়া নিয়ে আমার সৎ মা আমাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অভিশাপ দিতে থাকে। আমার স্ত্রী সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করার সাথে সাথেই আমার আব্বা বঁটি দিয়ে তার কপালে কোপ মারে। স্ত্রীর চিৎকারে আমি সেখানে পৌঁছানো মাত্র আমার মুখের বামপাশে কোপ মারে। আমার সৎ মা আমাকে লক্ষ্য করে লাঠি দিয়ে বাড়ি মারতে গেলে সেই বাড়িতে আমার আব্বা আহত হয়। ঝগড়ার মধ্যে দাদী চলে এলে তিনিও সামান্য আহত হয়েছেন। আমার মুখে ৪টি ও আমার স্ত্রীর মাথায় দুটো সেলাই দিতে হয়েছে। জবেদা বিবি বলেন নারিকেল নিয়ে বাপবেটার মধ্যে গোলমাল হয়েছে। কে কাকে মারপিট করেছে বলতে পারব না। তবে সবাই রক্তাক্ত হয়েছে। টুম্পা খাতুন বলেন, আমার কেনা সম্পত্তি নিয়ে শ্বশুর ও সৎ শাশুড়ির সাথে প্রায় সময়ই গোলযোগ হয়। আমরা এর শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিনুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, এখনও অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।