
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি প্রতিবেদক : আশাশুনি উপজেলায় ঢিলে-ঢালাভাবে লকডাউন এর প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখাগেছে। দেখে মনে হয়েছে লকডাউন এ ঘরে থাকার কথা থাকলেও কিছু অসচেতন জনগন বেশী বেশী বাহিরে বেরিয়ে হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে আড্ডা দিয়ে উৎসব মূখর পরিবেশে লকডাউন এর প্রথম দিন পালন করেছেন। প্রথমদিনে স্থানীয় রুটে কোন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যান, মোটরসাইকেল এর দখলে ছিল রাস্তাঘাট। এদিন দু’একটি বাজার ব্যতীত অধিকাংশই হাট-বাজার গুলোতে দোকান-পাট খোলা ছিল আগের নিয়মেই। এসময় অধিকাংশ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাস্ক পরিধানে অনীহা দেখাগেছে। এদিকে, লকডাউন সফল করতে উপজেলার কিছু হাট-বাজার ও সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রশাসনের তৎপরতা ছিল। উপজেলার কয়েকটি স্থানে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় লকডাউনের মধ্যে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন নির্দেশনা পালনসহ যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল আছে কিনা তা তদারকিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় সরকারি নীতিমালা অমান্য করায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল এর নির্দেশনা মোতাবেক সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে আশাশুনি বাজার, গোয়ালডাঙ্গা বাজার, চাপড়া বাসস্ট্যান্ড, মানিকখালি ইজিবাইক স্ট্যান্ড, বড়দল ব্রীজ সংলগ্ন সীমান্তবর্তী চেকপোস্ট এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন সুলতানা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মোট ৯টি মামলায় ৪ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা আদায় করেন। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লক ডাউন ভঙ্গ করলে এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানলে বা সরকারের দেয়া শর্ত ভঙ্গ করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আরও কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে জানানো হয়। এদিকে, উপজেলার সচেতন মহল লকডাউন চলাকালে উপজেলা প্রশাসন এর তৎপরতা আরও বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন।