
সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি: সব শিক্ষার্থীর আবেদনের সুযোগ নেই। কিন্তু গুজবের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতে সবাই ভিড় করছে। শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান দেওয়ার ‘গুজব’ ছড়িয়ে যাওয়াতে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের ভিড় দেখা যায় আশাশুনির বুধহাটা বাজারের ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতে।রবিবার সকাল থেকেই টানা দ্বিতীয় দিনের মতো আশাশুনির ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসে দোকানগুলোতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দোকানগুলো শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে ফরম পূরণের জন্য ১০০ টাকা সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এটি করোনা প্রণোদনা বা স্টুডেন্ট ভাতা নয়। গত বছরের মতো এ বছরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে।এ ছাড়া সংস্কার, আসবাবপত্র, খেলার সামগ্রী এবং পাঠাগার উন্নয়নের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে।রবিবার আবেদনের শেষ সময় ছিল সেটা আবার ১৫ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিনা মূল্যে প্রত্যয়ন দিলেও কোনো প্রতিষ্ঠান অর্থ আদায় করেছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক বলেন, সবাইকে এই অনুদান দেয়া হবে না। সরকারি চিঠিতে বলা হয়েছে- দুস্থ, প্রতিবন্ধী, গরিব ও অনগ্রসর ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্রাধিকার পাবেন। দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার শিকার শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এই অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন।শিক্ষার্থীরা জানান, করোনায় স্টুডেন্ট ভাতা হিসেবে ১০ হাজার টাকা প্রদান করার বিষয়ে শুনে এসেছেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে অনলাইনে আবেদন করার জন্য তারা এসেছে। অভিভাবক গৌতম ব্যানার্জী জানান, সবার মুখে মুখে ১০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা শুনেছি। কিন্ত সার্ভারে ঢোকা যাচ্ছে না।