
আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা ‘স’ মিল মোড় টু তেঁতুলিয়া ব্রীজ পর্যন্ত এলজিইডির মেইন সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। পূর্বের ১৫ ফুট প্রস্থ সড়কটি ৩ ফুট কমিয়ে নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে ১২ ফুট করে।ব্যস্ততম রাস্তাটি পূর্বের ন্যায় ১৫ ফুট বজায় রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।শুক্রবার সকালে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ সড়কটি ১৫ ফুট করার দাবীতে কাজ বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বড়দল ইউনিয়ন যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন আঙ্গুর, গোয়ালডাঙ্গা আল-আমিন যুব সংঘের সভাপতি সাংবাদিক এস এম শরিফুল ইসলাম শরীফ, হাফেজ রুহুল আমিনসহ স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন রাস্তাটি অবহেলিত ভাবে পড়ে ছিলো। আশাশুনির দক্ষিণাঞ্চল প্রতাপনগর, খুলনা জেলার তালা, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। রাস্তাটি ১৫ ফুট প্রস্থের হলেও নতুন করে এজিং এর কাজ করা হচ্ছে ১২ ফুট প্রস্থ রেখে। টার্নিং রাস্তাটিতে একটি ট্রাক গেলে দুই পাশ দিয়ে একজন মানুষও চলাচল করা ঝুঁকি। রাস্তায় ইতিপূর্বে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে, কয়েকটা তাজা প্রাণও ঝরেছে। পথচারী ও মানুষের জানমাল রক্ষার্থে ১৫ ফুটের নিচে কাজ করলে কাজ করতে দেয়া হবেনা বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।
মেসার্স সরদার এন্টার প্রাইজের কন্ট্রাক্টর মুকুল সরদার জানান, গোয়ালডাঙ্গা ‘স’ মিল মোড় হতে তেঁতুলিয়ার ব্রিজ পর্যন্ত ৬৫০ মিটার রাস্তাসহ কাদাকাটি হলদেপোতা পর্যন্ত মোট আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কাজের জন্য বরাদ্দ ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। ৩.৭ অর্থাৎ ১২ ফুট ২ ইঞ্চি কাজ করার কথা কিন্তু আমার মিস্ত্রীরা মনে হয় ব্রিজের ওখানে রাস্তাটি একটু ছোট করে ফেলেছে। স্থানীয় লোকজন এসে রাস্তার কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে। আমি আমার মিস্ত্রীদের বলে দিয়েছি ব্রিজের ওখানে একটু রাস্তা চওড়া করে কাজ করার জন্য। রাস্তার কাজ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার কথা। সেখানে এত প্রতিবন্ধকতা আসলে আমি কিভাবে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করব।
উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্য দেব জানান, গোয়ালডাঙ্গা টু হলদেপোতা রোডের আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ৩.৭ অর্থাৎ ১২ ফুট ২ ইঞ্চি চওড়া করার কথা সরকারিভাবে এস্টিমেট করা। স্থানীয় লোকজনের কাজে প্রতিবন্ধকতা করা ঠিক না। তবুও যখন প্রতিবন্ধকতা এসেছে আমি ওই কন্ট্রাক্টরকে বলে দেব টার্নিং রাস্তাটুকু চওড়া করে দেওয়ার জন্য।