
নিজস্ব প্রতিবেদক: উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন। ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বার্তা এসে পৌছেছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের চিঠিও পড়ে শোনানো হয়। সাতক্ষীরা আ’লীগের জনপ্রিয় এসব নেতাদের শোকজ নিষ্পত্তি হওয়ায় প্রত্যেকটি উপজেলা জুড়ে নেতা-কর্মীরা উচ্ছাসিত ও উজ্জীবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা দলের মধ্যে কোণঠাসা হওয়ার পর নতুন করে এসব কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। খুশিতে অনেক উপজেলায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা মিষ্টি বিতরন করেছে।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএম ফজলুল হক, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক গোলাম মোরশেদ, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম পিন্টু, দেবহাটা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদি সহ আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন।
উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আ’লীগের দলীয় সিদ্ধান্তে তাদের শোকজ নোটিশ প্রদান করা হয়। শোকজ নোটিশের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্তুষ্ট হওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাধারণ ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।