নিজস্ব প্রতিবেদক: মাছের ঘের লুটে বাঁধা দেওয়ায় পিটিয়ে দুইজনকে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। ঘটনাটি গতকাল সদর উপজেলার আলিপুরের তালবাড়িয়ে এলাকায় সকাল ১০টায় ঘটে। আহতরা হলেন আলিপুরের তালবাড়িয়া গ্রামের মৃত অহেদ গাজীর ছেলে নূর ইসলাম (৪৩) ও মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে আবুল গাজী (৬৫)। আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার নিজের ৪৫ শতক ঘেরের মাছ লুটের খবর পেয়ে নূর ইসলাম প্রতিবেশি আবুল গজীকে সাথে নিয়ে ঘেরে যান। ঘেরে যেয়ে তিনি দেখতে পান একই গ্রামের মৃত. মোজাম্মেল মোড়লের ছেলে রকিব, মিজানুর, আমিনুর, আবুল কাশেমের ছেলে আমিরুল, মিজানুরের ছেলে প্রান্ত তার ঘেরে মাছ লুট করছে। এসময় তিনি মাছ লুটের প্রতিবাদ করলে তারা সাথে থাকা বাঁশ, রড, দা দিয়ে নূর ইসলাম ও আবুল গাজীকে উপর্যূপরী পেটাতে ও কোপাতে থাকে। এ সময় আহতরা চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রতিবেশিরা এসে তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযোগকারী আহত নূর ইসলাম জানান, ‘ওদের সাথে এই জমি নিয়ে আমদের প্রায় দুই বছর যাবৎ গোলযোগ আছে। বিভিন্ন জায়গায় শালিষ করে শেষ পর্যন্ত আদালত হয়েও তারা মানতে নারাজ যে ওই জায়গা তাদের না। আজ সকালে খবর পাই আমার মাছের ঘেরের মাছ লুট করছে। এসময় আমি আবুলকে সাথে নিয়ে ঘেরে যাই। ঘেরে গিয়ে দেখি মোজাম্মেল মোড়লের ছেলে রকিব, মিজানুর, আমিনুর, আবুল কাশেমের ছেলে আমিরুল, মিজানুরের ছেলে প্রান্ত তার ঘেরে মাছ লুট করছে। তাদের নিবৃত করতে চাইলেই আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় আমার ঠোঁট ফেটে গেছে। পিঠে কালশিটে পড়েছে। আবুলের অবস্থা সংকটাপন্ন। তার মাথায় ৯টি সেলাই দেয়া হয়েছে। মাথায় আঘাতের দরুন বমি করছে আবুল। ডাক্তারের নির্দেশে সিটি স্ক্যানও করা হয়েছে। তারা প্রায়ই এমন কাজ করে। আমরা তাদের হাত থেকে নিস্তার চাই। ’
আলিপুরে ঘের লুটে বাঁধা দেয়ায় পিটিয়ে জখম, গুরুতর আহত দুই
পূর্ববর্তী পোস্ট