
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি থেকে: আশাশুনির ৮০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন এনজিও’র ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ইউনিয়নে জাতীয় ভিত্তিক এন,জি,ও ও স্থানীয় এন,জি,ও গুলোর ঋন কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপক আকারে।আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ ঋনে জর্জরিত মানুষ জ্বালা সইতে না পেরে বসতভিটা,আসবাবপত্র,গবাদি পশু পর্যন্ত বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।দারিদ্র বিমোচন গ্রামোন্নয়ন,বেকারত্ব মোচন,কর্মসংস্থান সৃষ্টির টার্গেট করে আশাশুনিকে কে এন,জি,ও কর্মসূচির অন্তভুক্ত করেছিল।কিন্তু ফল হয়েছে তার উল্টো। প্রত্যৗল্প গ্রামাঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে ঋন গ্রহীতাদের নিদারুন করুন অবস্থা।খোজনিয়ে জানা যায় আশাশুনির বিভিন্ন ইউনিয়নে দেশী বিদেশী এন,জি,ও তৎপরতা রয়েছে। এ ইউনিযনেএন,জি,ও তৎপরতা শুরু হয় ১৯৮৫ সালের দিকে। ‘‘ব্র্যাক”এখানে প্রথম আস্থনা গাড়ে। এরপর‘‘আশা’’সার্স,উত্তরন,সুশীলন,বন্ধুকল্যান,জাগরনিচক্র,উত্তরন,এডো,এডাব,আর,আর,এফ,ওয়াল্ডভিশন,পল্লী চেতনা,উন্নয়ন,রুপান্তর,আইডিয়াল,ঋশিল্পী,গ্রামীন ব্যাংক,কেয়ার,উষা,সহ স্থানীয় ও বিদেশী সহাতায় এসব এন,জি,ও সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্টান আশাশুনির মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।আশাশুনিকে কে বেছে নেওয়ার কারন হলো এলাকাটি অভাবী ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রবন এলাকা । আর অভাবী ও দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে এন,জি,ও গুলো ইউনিয়নের ব্যাপক আকারে ঋণ তৎপরতা চালাচ্ছে।গ্রামীন দারিদ্রতামোচন,বেকারত্ম দুরিকরন কে তার্গেট করে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক ২০/২৫ শতাংশ সুদ নিচ্ছে ৩ থেকে ৩০ হাজার টাকায়।পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠা সমবায় সমিতি গুলো বার্ষিক ৪০ শতাংশ সূদে ঋন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।এসব এন,জি,ও প্রতিষ্ঠানের সদস্য হচ্ছেন তারাই যারা একেবারেই ভূমিহীন,দিন আনে দিন খায় ও দিন মজুররা ।
আশাশুনির কয়েকটি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় শতকরা ৭০/৭৫ শতাংশ মানুষ একাধিক এন,জি,ওর সদস্য। এর মধ্যে গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত,ভূমিহীন ও ছিন্নমুল ঋন গ্রহীতার হার বেশী বলে লক্ষ্য করা গেছে।যার মধ্যে অধিকাংশ মানুষের আয় মাসিক হারে খুব বেশী হলে ২০০০/২৫০০ টাকা।অনেকের শুধুমাত্র বসতভিটা সর্বস্ব।যার মূল্য হবে ৩৫ হতে৪০হাজার টাকা।অনেক পরিবারকে দেখা গেছে অভাবের তাড়নায় একই পরিবারের ৪/৫ সদস্য ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে বিভিন্ন ্এন,জি,ও হতে মোটা অংকের ঋন গ্রহন করেছেন যার প্রতিটি ঋনের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করতে রিতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।নিজেদের গবাদি পশু,আসবাব পত্র,এমন কি বসত ভিটা বিক্রি করেও ঋন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দিন দিন এলাকা থেকে অনেক পরিবার উধাও হয়ে যাচ্ছে।আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্স্থ জনসাধারন কে বাঁচাতে অতি সত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে এলাকা টি জনশূন্যে পরিনত হবে বলে অভিঞ্জ মহল মনে করেন।