
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশ তথা সাতক্ষীরা জেলা লকডাউনের কবলে থাকার সুযোগে সদর ঊপজেলা ঝাউডাঙ্গা ইউনয়িনের আখড়াখোলা বাজারের সরকারি গাছ কেটে সরকারি খাস জায়গার হাফ শতকের ডিসিআর নিয়ে আড়াই শতক জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দুটি দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা গ্রামের মৃত সামছের আলী মোড়লের ছেলে রফিকুল মোড়ল অবৈধভাবে এ দুটি দোকান ঘর নির্মাণ করে নিজ দখলে নিয়েছে। এ কাজে সহযোগতিা করেছে ঝাউডাঙ্গা ভূমি অফিসের তহশিলদার আব্দুল বারী ।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি আখড়াখোলা বাজারে রফিকুল মোড়ল এক শতক জায়গার ডিসিআর নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মী ও বাজার কমিটির ছত্রছায়ায় আড়াই শতক জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়ে দুটি দোকান ঘর নির্মাণ করছে। এবাদেও রফিকুলের নির্মানাধীন দোকানের পিছনে থাকা আরো কিছু সরকারি খাস জায়গা তার দখলে নিতে রাতারাতি সেখানে থাকা বড় একটি শিশু গাছ কেটে ইতিমধ্যে সেখানে চাল দিয়ে ঘর তৈরী করছে। জানা গেছে কাটা সেই গাছ স্থানীয় একটি কাঠের দোকানে আসবাবপত্র তৈরীর জন্য রেখে এসেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি ওই খাস জায়গায় দুটি নতুন আধা-পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, তার দেখাদেখি অন্যান্যরাও বাজারে থাকা সরকারি খাস জায়গায় আরও দোকান নির্মাণ করার পাঁয়তারা করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান বাজার কমিটির সেক্রেটারি ও কয়েকজন নেতাকর্মীসহ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে এতে করে সরকারের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ভূমি বেহাত হয়েছে।
আখড়াখোলা বাজারের ইজারাদার আমিরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। তবে রফিকুল মোড়ল দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন এটা সত্য। আগেও এ বাজারের সরকারি জায়গা ও পাশে থাকা বেতনানদীর জায়গা প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজ দখলে নিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ঝাউডাঙ্গা ভুমি অফিসের তহশিলদার আব্দুল বারী জানান, আমি হাফ শতক জমির ডিসিআরের জন্য রিপোর্ট দিয়েছি। কেন তিন শতক জমি রফিকুল দখল ও সরকারী গাছ কেটে ঘর নির্মাাণ করছে। সেটা আমি তদন্ত কওে ব্যবসÍা নেব। আমি জমি দখলের বিষয়ে কোন সহযোগিতা করেনি। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা-তুজ জোহরা জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিব।