সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি থেকে:
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা প‚র্ব পাড়া গ্রামটি স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও কয়েক শত পরিবারের চলাচলের একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা কর্দমাক্ত অবস্থায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমী বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কখনোই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ বিষয়টি আমলে নেননি, এমনটিই অভিযোগ স্থানীয়দের। বুধহাটা প‚র্বপাড়া গ্রামের অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট এখনও কাঁচা। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি যেন তাদের নিত্য সঙ্গী।
এ এলাকার অধিকাংশ মানুষ স্বল্প শিক্ষিত হওয়ায় তাদের হয়ে কথা বলার জন্য কেউ নেই। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ বারবার আশ্বাস দিয়েও, এখনো পর্যন্ত কেউ কথা রাখেনি। স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল বারী এ প্রতিবেদককে বলেন বুধহাটা প‚র্বপাড়ায় ১৪/১৫ শত পরিবারের বসবাস থাকলেও অত্র এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ করার কথা থাকলেও সীমিত পরিসরে দায়সারা ভাবে কিছু কাজ করে ফেলে রাখে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুর রহমান বলেন অত্র এলাকার মধ্যে বুধহাটা প‚র্ব পাড়ায় একটিমাত্র সরকারি কবরস্থান থাকা শর্তেও সেখানে যাতায়াতের রাস্তা এখনো কাঁচা।
বর্তমানে মরার উপরে খারার ঘায়ে পরিণত হয়েছে বেতনা নদী খনন কার্যক্রম। বর্ষার মৌসুমে একদিকে যেমন নদী খনন কাজ বন্ধ হয়ে আছে, অন্যদিকে লোকালয়ের পানি নদীতে নিষ্কাশন হতে না পেরে লোকালয় সহ বিচ্ছিন্ন এলাকা অতিবৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে। বৃষ্টির পানিতে টুইটম্বার হয়ে আছে মৎস্য ঘের, খাল, বিল, প্লাবিত হয়ে আছে রাস্তাঘাট, জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কাঁচা পাকা হাজার হাজার বাড়ি ঘর।
এভাবেই উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যবধি কর্দমাক্ত সড়ক মাড়াতে হয় বুধহাটা প‚র্ব পাড়ার সাধারণ মানুষের। কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে ঘনবসতি বুধহাটা প‚র্বপাড়া। এমতাবস্থায় অতিদ্রæত বদ্ধ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সহ রাস্তাঘাট সংস্কারের দাবি জানান এলাকার সচেতন মহল।