
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর: যশোরে তিন সন্তানের জননীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মনিরামপুর উপজেলার রতেœশ্বপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হোসেন এর কন্যা শিউলী খাতুন এর সাথে বিগত ১৯ বছর পূর্বে অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ী গ্রামের জাহিদ শেখের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি ১৮ বছরের কন্যা, বারো ও পাঁচ বছরের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সংসার জীবনে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসলেও বিগত কয়েক বছর ধরে স্বামী জাহিদ তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন দিতে শুরু করে। স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করাটাই ছিল তার নিত্য দিনের সঙ্গী। একই ভাবে নির্যাতন চালায় ননদ জাহানারা বেগম। এ ছাড়া একটি ডিভোর্স বিষয়কে কে কেন্দ্র করে জাহিদ তার একমাত্র কন্যা জেলির উপর চালাতে থাকে অমানবিক নির্যাতন। যার কারনে ওই জননী নিজের এবং মেয়ের নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯ টার দিকে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। অভয়নগর থানা পুলিশের এসআই অভিজিৎ সিংহ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়।
আরো অভিযোগ উঠেছে এ সকল নির্যাতন চালানোর নেপথ্যে জাহিদের চার ভাই আজবালী শেখ, হালিম শেখ, আলী শেখ ও সোলায়মান শেখের হাত রয়েছে বলে জাহিদের কন্যা জেলি ও শিউলীর ভাই রেজাউল ইসলাম ও তার স্ত্রী জানিয়েছেন।
অপরদিকে মায়ের আতœহত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তার কন্যা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী জেলি খাতুন জানান, আমার পিতার যন্ত্রণা সইতে না পেরে আমার মা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। জননীর দুই ছেলে ও মেয়ে উভয়ে মা হত্যার বিচার দাবী করছেন। নিহতের ভাই রেজাউল ইসলাম বলেন আমার বোন ও ভাগ্নের উপর দিন অন্তর নির্যাতন করতো বোনাই জাহিদ। তাই আমি প্রশাসনের প্রতি সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক সঠিক বিচার দাবী করছি। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুর রহমানের সাথে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন শিউলীর মৃত্যুর কথা শুনে আমি নিজেও সেখানে গিয়েছিলাম। তখনও তার স্বামী জাহিদের ব্যবহারটা ভালো ছিলনা। লাশ ময়না তদন্তে আসলেও সেখানে সে আসনি। আমি নিজেই নিহতের ছেলে মেয়েসহ ও মর্গে থেকে লাশটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসি এবং দাফন কাজ শেষ করছি। সেখানেও জাহিদ আসেনি।