
* জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এজাজ আহমেদ স্বপনের প্রচেষ্টা
* দক্ষিণবঙ্গে সম্ভাবনার হাতছানি
* খুলে যাবে বৈদেশিক বানিজ্যের নতুন দোয়ার
রুবেল হোসেন: ভোমরা স্থল বন্দরের পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বৈদেশিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে “বসন্তপুর নদী বন্দর” স্থাপনের মাধ্যমে। গত ২৫ অক্টোবর “বসন্তপুর নদী বন্দর” স্থাপনের সদয় অনুমতি জ্ঞাপন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে সংরক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কে। ২৫ অক্টোবর “বসন্তপুর নদী বন্দর” স্থাপনের গেজেট প্রকাশিত হলেও সাতক্ষীরায় সংশ্লিষ্টদের নিকট গেজেটের কপি এসে পৌছেছে গতকাল সোমবার (০৭ নভেম্বর)। ফলে সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী সহ সচেতন মহলে শুরু হয়েছে খুশির আমেজ।
১৯৬৫ সালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও ভারতের সীমান্তবর্তী ইছামতি, কালিন্দী ও কাকশিয়ালী নদীর মোহনায় দেবহাটা উপজেলার বসন্তপুর নামক স্থানে নৌ বন্দর স্থাপনের কার্যক্রম চললেও ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। কাস্টমস অফিসের ভবন সহ বিভিন্ন স্থাপনা এখনো বিদ্যমান। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী বসন্তপুর নৌ বন্দর স্থাপনের দাবিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এজাজ আহমেদ স্বপন। এজাজ আহমেদ স্বপনের আবেদন ও শেখ হেলাল এমপির সুপারিশপত্র সহ বসন্তপুর নৌ বন্দর স্থাপনে সংশ্লিষ্টদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে আলোর মুখ দেখলো বসন্তপুর নদী বন্দর স্থাপনের কার্যক্রম।
বসন্তপুর নদী বন্দর স্থাপনের জন্য কাস্টমস’র স্বত্ত্ব দখলে থাকা ১৭ বিঘা জমির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাচামাল ও জনবলের পর্যাপ্ততা নদী বন্দর স্থাপনের সম্ভাবনায় যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
সড়কপথের তুলনায় নৌ পথে যাতায়াত ও পন্য পরিবহন দ্রুততর ও সহজলভ্য হওয়ায় সাতক্ষীরা সহ দক্ষিণবঙ্গে উৎপাদিত মৎস্য ও পঁচনশীল দ্রব্য পার্শ্ববর্তী ভারত তথা বিদেশে রপ্তানীতে শুরু হয়েছে সম্ভাবনার হাতছানি। দ্রুত নদী বন্দর স্থাপন হলে সাতক্ষীরা সহ দক্ষিণবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ী সহ কৃষিপন্য উৎপাদন, বিপনন ও আমদানী রপ্তানীর সাথে সংশ্লিষ্টরা স্বস্তি ফিরে পাবেন। কৃষক তথা উৎপাদনকারী তাদের উৎপাদিত মৎস্য ও কৃষিজাত পন্য দ্রব্যের নায্য মূল্য পাবেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে সাতক্ষীরার অসংখ্য বেকারের। বসন্তপুর নদী বন্দর স্থাপনের মাধ্যমে সাতক্ষীরা সহ দক্ষিণবঙ্গের অবকাঠামোগত খাতে আসবে আমূল পরিবর্তন। এমনটাই মনে করেন বসন্তপুর নদীবন্দর স্থাপনের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
“বসন্তপুর নদী বন্দর” স্থাপন প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এজাজ আহমেদ স্বপন সাতনদীকে বলেন, “১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের কারনে বসন্তপুর নদী বন্দর স্থাপনের কার্যক্রম চাপা পড়লে সাতক্ষীরার আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমি ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে নদী বন্দর স্থাপনের দাবীতে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পারষ্পরিক আলোচনা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গত মাসের ২৫ তারিখ বসন্তপুর নদী বন্দর স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। আমি সোমবার (৭ নভেম্বর) গেজেটের কপি হাতে পেয়েছি।
নদী বন্দর স্থাপনে আর কোন জটিলতা না থাকায় দ্রততম সময়ে বসন্তপুর নদী বন্দর স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ সহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি।