
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার সরুলিয়ায় সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সরুলিয়া গ্রামের মৃত আফসার আলী সরদারের ছেলে আসাদুল ইসলাম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা ৪ ভাই পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে পাটকেলঘাটা থানার বড়বিলা মৌজায় ১২৩ দাগে ৮৮ শতক জমির মধ্যে ২৯ শতক সম্পত্তি দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলাম। ইতোপূর্বে আমার বড় ভাই মাস্টার আব্দুল হামিদ উক্ত সম্পত্তির দেখাশোনা ও রক্ষনা বেক্ষন করতেন। আমি লেখাপড়ার কারণে দীর্ঘদিন বাইরে থাকি। আমার বড় ভাই মাস্টার আব্দুল হামিদ অসুস্থ্য হয়ে গত ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুর পর স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে একই এলাকার মৃত কালিপদ ঘোষের পুত্র স্বপন ঘোষ, তপন ঘোষ ও রতন ঘোষ উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এরই জের ধরে তারা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘেরাবেড়া দিতে বাধা দেয় এবং দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দেখিয়ে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। এঘটনায় কোন উপায় না পেয়ে আমি বাদী হয়ে গত ১২/১২/২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। তিনি বলেন, তাদের ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে নেয়ার ষড়যন্ত্রে বর্তমানে আমি চরম উদ্বিগ্নতার মধ্যে রয়েছি। এদিকে, মামলা দায়েরের খবর জানতে পেরে উক্ত স্বপন ঘোষ, তপন ঘোষ ও রতন ঘোষ আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে বলছেন, সম্পত্তি ছেড়ে না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ভিটেছাড়া করবে। এছাড়া ওই চক্রটি স্বল্পমূল্যে স্থানীয় প্রভাবশালীর কাছে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রয় করে দেওয়ার ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে আইন ও আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে দখল নেবে বলে জানা গেছে। আমি অসহায় নিরিহ একজন ছাত্র হওয়ায় সুযোগে তারা গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এমতাবস্থায় তিনি (আসাদুল) উক্ত অবৈধদখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক তার পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।