
কালিগঞ্জ ব্যুরো: এলজিএসপি প্রকল্পের কাজ করার ইটের সোলিং এর রাস্তার কাজ দেখিয়ে দুটি প্রকল্পের কাজ না করে ২ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ইউ.পি সদস্য নিরাঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ডে পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের চালতেতলা দূর্গা মন্দিরের পাশে মনোরঞ্জন ঘোষের পুকুর পাড়ে। দুটি প্রকল্পে পুকুর চুরি করে এবারও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে বহাল তবীয়াতে আগামীকালের ভোটে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎকারী মেম্বর নিরাঞ্জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকার জনসাধারনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী। অভিযোগের সূত্র এবং শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৮টার সময় পূর্ব নারায়নপুর গ্রামে গেলে কার্তিক, ছরোয়ার, অরুন, হাবিব সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পূর্ব নারায়নপুর পূজা মন্ডপ সংলগ্ন রাস্তা হতে শ্মশানঘাট অভিমুখে রাস্তা ইটের সোলিংকরণ এলজিএসপি প্রকল্পের ৮০ হাজার টাকায় ২২৪ ফুট রাস্তা করা হয়। উক্ত রাস্তার কাজটি ঠিকাদার মেসার্স শাহেদ এন্টার প্রাইজ সম্পন্ন করে। উক্ত প্রকল্পের জায়গায় উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে পূর্ব নারায়নপুর ফুটবল মাঠ হতে শ্মশানঘাট পর্যন্ত ড্রেন ও রাস্তা সংস্কার বাবদ ননওয়েজ প্রকল্পে ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উক্ত প্রকল্প ছাড়াও একই ইটের সোলিং রাস্তার উপর আবারও এলজিএসপির প্রকল্পের পূর্ব নারায়নপুর দূর্গা মন্দির হতে শ্মশানঘাট অভিমুখ রাস্তা ইটের সোলিং করণের নামে ৯০ হাজার টাকায় ৬ ফিট প্রস্ত এবং ১৯৭ ফুট লম্বা দেখানো হয়। উক্ত বরাদ্দ নিয়ে গত ১৫ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রকল্প দুটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট ৯নং ওয়ার্ডে নিরাঞ্জন ঘোষ এবং ইউপি সদস্য মৌসুমী খাতুন, ইমাম আহম্মাদ আলী, মহিলা প্রতিনিধি শোভা রানী ঘোষ এবং মৌসুমী খাতুনকে সদস্য করা হয়। উক্ত প্রকল্প দুটিতে ৬ হাজার টাকা দিয়ে ৩০টি সিমেন্টের প্লিয়ার এবং ২ হাজার টাকা দিয়ে ৫টি বাঁশ কিনে কর্মসৃজন প্রকল্পের লোক দিয়ে মনোরঞ্জন ঘোষের পুকুরে পেলাসাংডিং ও বেড়া দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হয়। নামমাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্প দুটির সমুদ্বয় টাকা তুলে ২ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে দাবী করেছেন। তবে এ কাজে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন এবং কাজের তদারককারী সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলামের যোগসাজসে প্রকল্প দুটিতে কাজ না করে এবং কমিটিকে না জানিয়ে তাদের ভুয়া স্বাক্ষরে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে কমিটির সদস্যরা জানান। এ ব্যাপারে প্রকল্প সভাপতি নিরাঞ্জন ঘোষের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি উক্ত প্রকল্প সম্বন্ধে কিছু জানেন না বলে জানান। অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ বিশ্বাসের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি অসুস্থ্য বিধায় ইউনিয়ন পরিষদে রেজুলেশন করে নিরাঞ্জন মেম্বর কে সভাপতি ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কাজ না করলে তারা এরজন্য দায়ী থাকবে। কাজে তদারককারী সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম বলেন এটা লেখালেখি করে কি হবে আমি মেম্বরকে আপনার সাথে দেখা করতে বলবো। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিষয়টি জেনে প্রকল্প সভাপতিকে লোক দেখানোর চিঠি দিয়ে দায় এড়িয়ে যান। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে উক্ত প্রকল্পের কাজ হয়েছে কিনা দেখানোর কথা বললে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।