
দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার ১৭ জানুয়ারি রোজ সোমবার সংখ্যার প্রথম পাতায় “ মৌতলায় ৩৫ বিঘা জমির ঘের দখল করে নিল ঝড়– ” শিরোনামের (মূল হোতা) প্রকাশিত খবরটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটির অভ্যন্তরস্থ অসত্য তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে। “ আমি, শাহজাহান সিরাজ, শেখ ফজর আলী, জামাল উদ্দিন ও কামাল হোসেনের ৩৫ বিঘার মৎস্য ঘের দখল করে নিয়েছি ”। জমি দখলের কাল্পনিক খবর প্রকাশ করে পত্রিকাটি সামাজিকভাবে আমার ভাবমূর্তি বিনষ্টের চেষ্টা চালিয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের নেবুখালি মৌজার ৩৫ বিঘার মৎস্য ঘের নিয়ে দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটি সত্য নয়।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে নেবুখালি মৌজার ৩৯ টি দাগের ৫৮.১৮ শতাংশ জমির ১৭ জন মালিক আমার (এম. খলিলুল্লাহ ঝড়– ) নামে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লিজ ডিড সম্পাদন করে দেন । আমার লিজ ডিড নেয়া জমির মধ্য থেকে ৩৫ বিঘা জমি ২০২০-২০২১ সালে মৎস্য চাষের জন্য শাহজাহান সিরাজ, ফজর আলী, জামালউদ্দীন ও কামাল উদ্দিনের নামে লিজ ডিড সম্পাদন করে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২১ সালের নির্ধারিত ৩৫ বিঘা জমির হারির টাকা পরিশোধ না করায় নতুন করে লিজ নবায়ন করা হয়নি। এ বিষয়ে ২৮/১২/২০২১ইং তারিখে কালিগঞ্জ থানায় দু পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। যেখানে সিদ্ধান্ত হয় লিজ ডিড নবায়ন না করে শাহজাহান সিরাজসহ ৪ জন ৩৫ বিঘা মৎস্য ঘেরে যেতে পারবে না। এ বিষয়ে গত ৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। কিন্তু উক্ত ৪ জন হারির টাকা দিয়ে ৩৫ বিঘা মৎস্য ঘেরের লিজ নবায়ন করেনি। ফলে আমি উক্ত ৩৫ বিঘা মৎস্য ঘেরটি নিজে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সর্বশেষ এ ব্যাপারে গত ১২ জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় একটি পিটিশন মামলা করি। আদালত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কালিগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কালিগঞ্জকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রকাশ থাকে যে, এক শ্রেণীর প্রতারক ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাবে ভূল তথ্য ও মন্তব্য করে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তারা বলতে চায় আমি আইন মান্য করে চলি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতে যে সিদ্ধান্ত হয় আমি মাথা পেতে নেব।
এম. খলিলুল্লাহ ঝড়ু
পিতা: আলহাজ্ব খয়বার সর্দার
৫ নং মিউনিসিপ্যালটি ট্যাংক রোড়
খুলনা।