
নিজস্ব প্রতিবেদক: সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ১০টা ১৫ মিনিট, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনার টিকা নিতে আসা মানুষজনের চেচা-মেচির আওয়াজ কানে এলো। এগিয়ে দেখা গেলো এক ভিন্ন চিত্র। যারা টিকা নিতে উপস্থিত হয়েছে সবাই মোবাইলে এসএমএস পেয়ে হাজির। সাথে রয়েছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহনের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড। কে আগে যেতে পারে সেটাই যেনো প্রতিযোগিতা। সামনের গেট দিয়ে অল্প লোক ঢুকলেও বাহির হওয়ার রাস্তা দিয়ে টিকা দেওয়ার স্থানে লোক ঢুকছে বেশি। কোন স্বেচ্ছাসেবীকে তেমন দেখা গেলো না। তবে বাহির হওয়ার পথে একজনকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেলো। কিছুক্ষন পর সেখানে উপস্থিত ডাঃ জয়ন্ত কুমার সরকার। গেটম্যানকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই গেটে দাড়িয়ে পূর্ব পরিচিত বা আগে থেকেই তার সাথে যোগাযোগ করে এসেছে এমন লোকের সংখ্যা বেশি। তাদেরকে তিনি মুখ দেখে দেখে ভেতরে নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, টিকা দেয়ার স্থানেও তিনি অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করে তার লোকদের দাড়িয়ে থেকে টিকা কমপ্লিট করে দিচ্ছেন। এক কথায় টিকা দেয়ার স্থানে ডাঃ জয়ন্ত সরকার সব হর্তা-কর্তা। তাকে ম্যানেজ মানে আপনার টিকার কাজটি সহজ। নিয়ম-শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। সামাজিক দুরত্বও মানা হচ্ছে না। সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। বেলা ১১ টার দিকে বাইরে অপেক্ষারত ভ্যাকসিন প্রত্যাশীদের টিকা নেই এমন অযুহাতে ভেতরে আর ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। অথচ সবাই মোবাইলে এসএমএস পেয়ে সেখানে হাজির হয়েছে। টিকা নিতে কেউ কেউ সকাল ৭টার আগে লাইনে দাড়িয়েছেন। মোবাইলে এসএমএস পায়নি এমন লোককেও টিকা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। টিকা না পেয়ে চোখে-মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে ফিরতে দেখা গেল অনেককে। এটাই হচ্ছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের বাস্তব চিত্র। কে দেখবে এসব অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি?