
দেশব্যাপী করোনা যুদ্ধে গৃহবন্দী দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো। কারও কারও ঘরে চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ফুরিয়ে এসেছে। উঠছে নাভিশ্বাঃস গৃহকর্তাদের। এমন বিপদের সময় মানবতার হাত বাড়িয়ে সাতক্ষীরা জেলা সমিতির পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য খেটে খাওয়া মানুষেদের নিকট পৌছে দেয়ার উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে। আর এধরণের সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণের মধ্যদিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাতক্ষীরা জেলা সমিতির সভাপতি খলিলউল্লাহ ঝড়ু। তবে শুধু শ্রমিক শ্রেনীই নয়, এই বিশেষ সময়ে এলাকার পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্য পৌঁছে দেয়ার বিশাল উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
এলাকার শীর্ষস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ ও সাতক্ষীরা জেলা সমিতির সদস্যদের নিয়ে এই উদ্যোগ শুরু করেন সাতক্ষীরা জেলার এই কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলউল্লাহ ঝড়ু । করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে তার নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা সমিতি জেলার ৭ টি উপজেলায় ২০ হাজার পিচ নিরাপদ ফেস মাস্ক, ২০ হাজার পিছ হ্যান্ড গøাভস, ২০ হাজার পিচ সাবান এবং ২০০ লিঃ হেকসিসল বিতরণ করে। ধাপে ধাপে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত এসকল পণ্য বিতরণের কাজ চলছে।
এছাড়াও গত সোমবার (৩০ মার্চ) জেলার ৭ টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভা, ৭২টি ইউনিয়নে ১৫৫৩ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি পিয়াজ, ১ কেজি ডাল, ১লিঃ তেল, ৫০০ গ্রাম লবন, ২৫০ গ্রাম রসুন। এরকম আরো ২ বার দেওয়া হবে এ মাসের মধ্যে।এ প্রসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলউল্লাহ ঝড়ু বলেন, প্রচারণা জন্য একাজ নয়। কাজের জন্যে প্রচারণা চালানই তার মূল লক্ষ্য। এত বিশাল পরিসরে এই আয়োজন কীভাবে সম্ভব করেলেন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে যারা একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধকে সফল পরিণতি দিতে পেরেছে তাদের জন্য দেশের প্রয়োজনে যেকোনো যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়াটাই অসম্ভব কিছু নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি সারা দেশের জন্যে লড়তে পারেন, তার নেতৃত্বে সে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সামর্থ্যের সবটা দিয়ে রণক্ষেত্রে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান সাতক্ষীরা জেলে সমিতির এই সভাপতি।
তথ্যসুত্র: দৈনিক জাগরণ