
হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ বাস-টার্মিনাল সংলগ্ন শহিদ সামদ স্মৃতি ফুলবল মাঠ দখল করে গাড়ি পার্কিং এর নামে চলছে দিন-রাত রমরমা জুয়ার আসর। বুধবার বেলা আনুমানিক ১টার সময় সামাদ স্মৃতি ফুটবল মাঠে গেলে গাড়ি পার্কিং এর ফাঁকে এম দৃশ্য দেখা যায়। কালিগঞ্জ বাস-টার্মিনাল হইতে শ্যামনগর, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা সহ বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ২/৩ শতাধিক গাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চলে যায়। কিন্তুু কালিগঞ্জ বাস-টার্মিনালে গাড়ি পাকিং এর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় পরিবহন ড্রাইভার শ্রমিকদের নানান ভোগান্তি পোহাতে হয়। পার্কিং জায়গার অভাবে কালিগঞ্জ, সাদপুর ব্রীজ হইতে কাঁকশিয়ালী ব্রীজ পযন্ত দু’ধারে যাত্রী বাহী বাস, পরিবহন, ট্র্যাক পাকিং করে রাখার কারণে প্রতিদিন সাধারন মানুষের চলাচল দারুনভাবে বিঘিœত হলেও দেখার কেউহ নাই। একদিকে উত্তর কালিগঞ্জ শহীদ সামাদ স্মৃতি ফুটবল মাঠটি এলাকার যুবকদের জন্য একমাত্র খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তুু বাস-টার্মিনালে যে জায়গা আছে সেই জায়গায় পরিবহন বাস পাকিং করা সম্ভব হয়না বিধায় পাশে টার্মিনাল সংলগ্ন পাশে সামাদ স্মৃতি ফুটবল মাঠ দখল করে সেখানে প্রতিদিন অর্ধ শতাধিকের ও বেশি যাত্রীবাহী বাস, ট্র্যাক, মাইক্রো, প্রাইভেট গাড়ি পরিবহন শ্রমিকরা পাকিং করে মাঠ দখল করে আছে। এ সুযোগে পরিবহন শ্রমিকরা সহ বহিরাগত জুয়াড়–রা মিলে দিবা-রাত্র পাকিং করা গাড়ির ফাঁকে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে জুয়ার আসর। আর এতে করে অসহায় গরিব পরিবহন শ্রমিকরা সমস্ত দিনের রোজগারের টাকা জুয়া খেলে নিঃশ্ব হাতে বাড়ি ফিরে পরিবাবের অশান্তি বাড়িয়ে চলেছে। শহিদ সামাদ স্মৃতি ফুটবল মাঠটি পরিচালনার জন্য একটি কমিটি থাকলেও অধিকাংশ সদস্য পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত থাকায় বিষয়টি নিয়ে এলকার কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। অথচ প্রতিদিন প্রকাশ্যে দিবালোকে মাঠ জুড়ে জুয়ার আসর বসতে থাকতে দেখলেও সাধারণ মানুষের দেখা ছাড়া বলা বা প্রতিবাদের কোন ভাষা নাই। অথচ মাঠের পাশে সড়ক দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা, জেলা ও থানা প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা যাতায়াত করলেও বিষয়টি কিভাবে নজর এড়িয়ে যায় এ প্রশ্ন এলকাবাসীর। এ প্রসঙ্গে শহীদ সামাদ স্মৃতি মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং কালিগঞ্জ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আঞ্চলিক কর্মকর্তা আজিজ আহম্মেদ পুটুর নিকট একাধিক বার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।