
সচ্চিদানন্দদে সদয়,আশাশুনি: আশাশুনির দর্জি কারিগররা করোনার থাবায় থমকে গেছে। প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের আগে রমজানের প্রথম থেকেই দর্জিপাড়া থাকে সরগরম। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। নেই কোনো ভিড়, নেই মেশিনের খট খট আওয়াজ। করোনার থাবায় পাল্টে গেছে সব চিত্র। আশাশুনির বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে কিছু দোকান পাট খোলা থাকলেও সুনসান নিরবতা।
আশাশুনির সবচেয়ে ব্যস্ততম বুধহাটা বাজারের দর্জি পাড়ায় শোনা যাচ্ছে না মেশিন চালানোর শব্দ। নতুন কাপড় তৈরি করতে আসা মানুষের নেই কোনো আনাগোনা। করোনা ভাইরাসের কারনে নিস্তব্ধ হয়ে আছে শহরের দর্জি পাড়া। আশাশুনিতে প্রায় তিনচারশত দর্জি শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারিভাবে তারা কোনো সহযোগিতা পাননি বলে জানান। বুধহাটা বাজারের রেডরোজ টেইলাসের মালিক নিত্যরঞ্জন সাধু খাঁ বলেন, প্রতি বছর শবে বরাতের পর থেকে ঈদের পোশাক তৈরির জন্য ক্রেতারা কাপড় তৈরির জন্য টেইলার্সে আসতে শুরু করে। দর্জিরা চাঁদ রাত পর্যন্ত জামাকাপড় তৈরি করা সহ বানানো পোশাক ডেলিভারী দেয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করে। অথচ করোনা ভাইরাসের কারণে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লক ডাউন। ফলে টেইলার্স মালিকরা বেকার হয়ে পড়ে। কোন রকমভাবে তারা খেয়ে পরে বেঁচে আছে। সেই সাথে টেইলার্স শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যদিও ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান পাট খোলার কথা শোনা যাচ্ছে। টেইলাস মালিক অমিয় রায় বলেন, করোনার কারণে এইবার দর্জিপাড়ার পাল্টে গেছে দীর্ঘদিনের সেই কর্মকান্ডের চিত্র। দোকান বন্ধ থাকায় কারিগররা মানবেতর জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে কয়েকটি টেইলার্সের মালিক জানান, সরকারি নির্দেশনায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এ দোকান বন্ধ রয়েছে। পোশাকের অর্ডারও নেই, ফলে মালিকসহ কারিগররা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, এ ছাড়াও গুনতে হচ্ছে দোকান ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল।