
সাতক্ষীরা দিবা-নৈশ কলেজের অনিয়ম চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চারটি সিরিজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন শেষ হতে না হতে নতুন দূর্নীতির খবর। টাকার বিনিময়ে এম,পি,ও ভুক্ত হওয়া ছাড়াও এখনো পাইপ লাইনে প্রায় ডজন খানেক শিক্ষক। যাদেরকে বাড়ি হতে ধরে এনে ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কয়েকজন ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আঁতকে উঠে। নতুন এই তালিকায় ইসলামের ইতিহাসের অন্ততঃ ৫জন পাইপ লাইনে আছে। এর মধ্যে ফিরোজ কবির,আমজাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছ থেকে ২/৩ লক্ষ করে টাকা ডোনেশন নিয়েছে অধ্যক্ষ। যাদের নিয়োগের বিষয়টা প্রশ্নবোধক। অর্থনীতি বিভাগে মৃন্ময় ও বাংলার বিষ্ণু অন্যতম। প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন অত্যন্ত দরিদ্র। তার বাবা জমি বিক্রি করে এ টাকা দিয়েছে। ইতিহাসে সুব্রত ও নাহারের অবস্থা একই। এছাড়া হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দেবেশ দেবনাথ। এসব নিয়োগের কোন সার্কুলার নেই, নিয়োগ বোর্ড নেই, পরিক্ষা নেই। অধ্যক্ষের একক কর্তৃত্বে ও নিয়ন্ত্রনে সংগঠিত হয়েছে এ নিয়োগ।
এর আগে অনেকেই টাকা দিয়েছিল, কিন্তু তারা অদ্যাবধি এমপিও ভ‚ক্ত হয়নি বা টাকার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেনি। তাদের অনেকে অন্য কলেজে চলে গেছে। আবার কেউ কেউ অন্য পেশায়। কিন্তু তাদের পাওনা টাকা ফেরৎ পায়নি। এমন দু‘একজনও প্রতিবেদককে জানায়, অনেকেই এই কলেজ হতে নিঃস্ব হয়ে চলে গেছে।
ইতোমধ্যে কম্পিউটার ল্যাব এসিসটেন্ট পদে আমিনুরের নিয়োগ দেয়া হয় অবৈধ পন্থায়। সাতক্ষীরার একটি বড় কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল প্রমানিত হওয়ায় এমপিও আটকে যায়।
০২/০৯/১৪ তারিখে যোগদান করা হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নজরুল ইসলামের কাছ থেকে নগদ ও কিস্তিতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা আদায় করে। যার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২২/০৮/১৪ এবং নিয়োগ প্রদান করা হয় ২৭/০৮/১৪ তারিখ। যোগদানের পর টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরো অধিক টাকা না দিতে পারায় তাকে বের করে দেয়া হয় বেআইনীভাবে।
এভাবে আরো অনেকে আছে যাদেরকে কিছু কিছু টাকা নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে অথবা বের করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে অনার্স শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া ছিল কিন্তু বেশি টাকা দিতে না পারায় তাদের শোকজ করে বের করে দেওয়া হয় অথচ কয়েক মাস পর ৮/৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ডেকে এনে এমপিও ভ‚ক্ত করানো হয়। তাদের সবার প্রকৃত নিয়োগ ২০১৩/১৪ সালের পর।
এসবই এখন বেরিয়ে আসছে খবর প্রচারিত হবার পর। কয়েকজন জানায়,তাদের মূল সার্টিফিকেট আটকে দেয়া হয়েছে। রীতিমত ব্যক্তিগত সম্পত্তির মত ব্যবহৃত হচ্ছে কলেজটি। তদন্ত হলে আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে।