
প্রধান প্রতিবেদক: গ্রাম পুলিশ দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এক যুবককে বেধড়ক পিটিয়েছে চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল। শুক্রবার দুপুরের দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ওই যুবককে উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
নির্মম নির্যাতনের স্বীকার যুবক ইমরান হোসেন (৩০) কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে। ইমরান হোসেন কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
কৃষক ইমরানের শ্বশুর মফিজুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান হাবিলকে ভোট দেয়নি মিছিলে যায়নি সেই রাগ পুষে রেখেছে চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন। বিভিন্ন সময় চেষ্টা করে হয়রানি করার। শুক্রবার চারজন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় ইমরানকে। এরপর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। পরবর্তীতে আমরা সকলে পরিষদে গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল আ.লীগ নেতা হয়েও কৃষিকাজ করা যুবককে নির্মম নির্যাতন করলো আমি এর বিচার চাই।
কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল কৃষি কাজ করা যুবক ইমরান হোসেনের বাড়িতে ইতিপূর্বে একাধিকবার পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছে। বিষয়টি ইমরান জানানোর পর কলারোয়া থানার ওসি ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন কিছু করবে না বলে জানিয়েছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না ইমরানের। শুক্রবার ৪-৫ জন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে বাড়ি থেকে তুলে এনে ইউনিয়ন পরিষদে ফেলে নির্মম নির্যাতন করেছে।
নির্যাতনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিলের কাছে জানতে চেয়েছিলাম ইমরানের অপরাধ কি। চেয়ারম্যান বলেছে, আমার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। এছাড়া অপরাধের আর কোন কথা চেয়ারম্যান হাবিল জানায়নি।
যুবকে নির্যাতনের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল বলেন, একটা অভিযোগের বিষয়ে আমি তাকে কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে ডেকেছি কিন্তু আসেনি। তাই আমি তাকে মেরেছি। সামাজিকভাবে শাসন করেছি। অপরাধ করলে আমি তাকে শাসন করতে পারবো না ?
অপরাধ করলে থানা পুলিশে দেননি কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সামাজিক শাসন প্রয়োজন। সামাজিক শাসন এখন নেই বলে সমাজের এই খারাপ অবস্থা।
ঘটনার বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস বলেন, চেয়ারম্যান হাবিল হোসেনের বিরুদ্ধে ইমরান নামের এক যুবককে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ থানায় এসেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।