
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মঙ্গলবার ভোর থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে মংলা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে মংলা থেকে ১০২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে আম্ফান। তবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টি ২১০-২২০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব তথ্য জানান সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে চার নম্বর সর্তকতা সংকেত জারি করা হয়েছে। সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতেও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাত হানার সম্ভবনা রয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহন করেছে সাতক্ষীরা প্রশাসন। জেলার ১৪৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও এক হাজার ৭০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত দেড় হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সর্বাতœক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বর্তমান পর্যন্ত দেড় হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে। সিভিল প্রশাসনকে তারা সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যারা উঠছে তাদের মাঝে শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরণ করছি। দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস. এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলার ১৪৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও এক হাজার ৭০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলার জন্য জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হয়েছে ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা থেকে রক্ষা পেতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া জেলায় দুর্যোগ মোকাবিলায় ২৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে।
আকরামুল ইসলাম
০১৭১৬০৬০৮৩৬
১৮.০৫.২০