
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির পল্লীতে এক আ’লীগ নেতার ইজারাকৃত জমি জবর-দখলে বাঁধা দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের তিনজন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগে ও হাসপাতালে ভর্তি মমতাজ বেগম জানান, উপজেলা আনুলিয়া ইউনিয়নের ১৯৭৬ সাল হতে অদ্যবদি ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মধ্যম একসরা গ্রামের মৃত. আছির উদ্দীন শিকারীর পুত্র দবির উদ্দীন শিকারী (৫৮) একসরা মৌজায় ভিপি ৪৩/৯৬ নং মামলার হাল ১২২ নং খতিয়ানের ১৪১০ নং দাগে ১.০৮ একর জমির মধ্যে ৬৬ শতক জমি ১৯৯৬ সাল হতে ইজারা মূলে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। চলতি বছরে অজ্ঞাত কারনে ইজারা নবায়ন না হলে আবেদনসহ ইজারার মূল্য সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে জমা দেয়া রয়েছে। যাহা ইজারা প্রদানে প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির উপর নজর পড়ে পার্শ্ববর্তী শওকত সানার। সে থেকে প্রায়ই জমি জবর-দখলের জন্য পায়তারা চালাতে থাকে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে দবির উদ্দীন শিকারীর স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪৫), কন্যা ফতেমা খাতুন (২৫) বড় ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৪৭) চাষাবাদ শেষে ঘাষ বাছার কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ পার্শ্ববর্তী নূর ইসলাম সানার পুত্র শওকত বাহিনীর প্রধান শওকত হোসেনের (৩৬) নেতৃত্বে আবু সাদেক শিকারী (৩৫), আব্দুস সামাদ গাজী (৪২), হাসান সানা (৩৮), বাচ্চু শিকারী (৩৭) ও সালাম কারিকর দা, শাবল, লোহার পাইপ ও লাঠি সোটা নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে বে-আইনিভাবে জমিতে প্রবেশ করে সন্ত্রাসী ইস্টালে জবর-দখলের চেষ্টায হুমকি-ধামকি ও জমি ছেড়ে চলে যেতে বলে। এত মমতাজ বেগমরা মৌখিকভাবে বাঁধার সৃষ্টি করলে সন্ত্রাসী শওকত বাহিনী তারদের উপর হামলা চালিয়ে বে-পরোয়া মারপিট ও দায়ের কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে মমতাজ বেগম ও ফতেমা বেগমকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করে এবং আনোয়ারা খাতুন স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ী গেছে। এ ব্যাপারে আনুলিয়া ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি দবির উদ্দীন শিকারী বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা রেকর্ড হয়নি বা কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি বলে বাদীর পরিবার সূত্রে জানাগেছে।