
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি প্রতিবেদক: দেশে ইতি মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে।করোনার রাগাম টেনে ধরার জন্য ইতি মধ্যে ১৮ টি নিয়ম প্রতিপালন করার জন্য প্রঞ্জাপন জারি করা হয়েছে। করোনার মহামারি রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা জরুরি বলে সকলে মনে করছেন। কিন্তু চারদিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই করোনার ঝুঁকিতে আছে দেশ। প্রতিদিন রীতিমতো বাজারে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। কেউ আসছে বাজার করতে, আবার কেউ কেউ অকারণেই ভিড় করছে। গাদাগাদি করে গায়ে গায়ে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছে। অন্যদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান পাটে করা গেলেও আশাশুনির কোন জায়গায় স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না।মনে হচ্ছে সকলের ক্ষেত্রে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষিত। আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, মানুষ অন্য স্বাভাবিক সময়ের মতোই বাজারে ভিড় করছে। সবার মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ব কোনোভাবেই মানা হচ্ছে না। খাদ্যসহায়তা নিতে, ১০ টাকা কেজির চাল নিতেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। ব্যাংকে লোকে-লোকারণ্য, দীর্ঘ লাইন দেখে মনে হচ্ছে যেন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কোনো মাথাব্যাথাই নেই তাদের কারো।সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যারা অহেতুক অকারণে বাইরে বের হচ্ছেন তাদের জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবুও অকারণে মানুষের বের হওয়া থামানো যাচ্ছে না। কয়েকটি বাজারে দেখা যায়, সাধারণ ক্রেতারা প্রতিটি দোকানেই ভিড় করে আছেন। বিক্রেতারাও হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে। প্রতিটি দোকানে সাত-আটজন করে ক্রেতার উপস্থিতি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাঁচাবাজার, মাছবাজার, নিত্যপণ্যের বাজারেও দেখা গেছে ক্রেতাদের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনার দৃশ্য।রমজান উপলক্ষে মানুষ দোকানের বাইরে দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হলেও সেটা পেরিয়ে মানুষ দোকানে চলে আসছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমাদের পেটের তাগিদে দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। তবে সরকারি ঘোষণা মোতাবেক স্বাস্থ্য বিধি মানার চেষ্টা করছি। তবুও ক্রেতারা এতটাই ভিড় করে যা দেখে মনে হয়, দেশে কোনো বিশেষ পরিস্থিতি নেই। মানুষ নিজ থেকে সচেতন না হলে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েও লাভ নেই বলে তারা মন্তব্য করেন।আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারে রীতিমতো জনসমাবেশের উপস্থিতি দেখা গেছে এ খানে নেই কোন স্বাস্থ্য বিধি মানার প্রবনতা,মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা। বাজারটিতে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিই জানান দেয়, করোনা তাদের কাছে কিছুই না। অনেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রতিনিয়ত সচেতন লোকজন মোবাইল ফোনে জানাচ্ছেন, উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে সবকিছুই চলছে অনেকটা স্বাভাবিকভাবে। পানের টেবিল থেকে শুরু করে কাপড়ের দোকান, কসমেটিক, জুতার দোকান, সেলুনের দোকান,স্বর্নকারের দোকান,এ্যলুমিনিয়ামের দোকান,শোরুম,চায়েরদোকান,হোটেল রেস্তোরা সব জায়গায় লংগন করা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি।অভিঞ্জ মহল মনে করেন এই মূহুর্তে যদি স্বাস্থ্য বিধি ও জনসচেতনতা বাড়ানো না যায় তাহলে করোনার থেকে রেহাই পাবে না আশাশুনির বিভিন্ন অঞ্চল।