
সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি থেকে:
আশাশুনিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’২৩ পালিত হয়েছে। ২৬ মার্চ রোববার সূর্যদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় আশাশুনি কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।
পুষ্পমাল্য অর্পন করেন, প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তকিম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. ইয়ানুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আশাশুনি সরকারি কলেজ, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম ও সাধারন সম্পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডলের নেতৃত্বে উপজেলা আ’লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, থানা অফিসার ইনচার্জ মু. মমিনুল ইসলাম পিপিএম ও ওসি (তদন্ত)’র নেতৃত্বে আশাশুনি থানা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়া ইকবালের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি, স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুল হকের নেতৃত্বে আশাশুনি হাসপাতাল, সভাপতি এস.এম আহসান হাবিবের নেতৃত্বে আশাশুনি প্রেসক্লাব, সভাপতি এনএমবি রাশেদ সরোয়ার শেলীর নেতৃত্বে উপজেলা কৃষকলীগ, ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ আবুল কালাম মোড়লের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা হোসনেয়ারা বিউটির নেতৃত্বে আনছার ভিডিপি, সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চুর নেতৃত্বে রিপোর্টার্স ক্লাব, সভাপতি মাষ্টার আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে ফ্রেন্ডন্স স্পোটিং ক্লাব, আশাশুনি মহিলা কলেজ, বালিকা বিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রাসা, চাপড়া হাইস্কুল, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস, দলিল লেখক সমিতিসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পন করেন।
মাল্যদান ও আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ কুজকাওয়াজ চলাকালিন উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপা রানী সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরণ চক্রবর্তী ও মোসলেমা খাতুন মিলি, কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ মু. মমিনুল ইসলাম পিপিএম, ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম আজিজুল হক, পিআইও সোহাগ খান, আনছার ও ভিডিপি কর্মকর্তা হোসনেয়ারা বিউটি, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার হাসানুজ্জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার আকতার ফারুক বিল্লাল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, ইউপি চেয়ারম্যান জগদিশ চন্দ্র সানা, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আবুল কালাম মোড়ল, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম আহসান হাবিব, রিপোটার্স ক্লাবের সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কর্মচারীসহ রাজনৈতিক নতেৃবৃন্দ।
উপজেলা প্রশাসন: পুষ্পমাল্য ও আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুজকাওয়াজ শেষে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শিশুদের বিভিন্ন ইভেন্টে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। বেলা ১২ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. ইয়ানুর রহামনের সভাপতিত্বে ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনা রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরণ চক্রবর্তী, সমাজ সেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস.এম আজিজুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি এস.এম আহসান হাবিব, সাবেক সভাপতি জি.এম মুজিবুর রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার লিয়াকত আলী, সরদার নাজিমুদ্দিন, আব্দুল করিমসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। আলোচনা ও সংবর্ধনা শেষে আশাশুনি সাংস্কৃতিক পরিষদের মহিলা সম্পাদিকা শিক্ষক মুন্নাহার পারভীনের নেতৃত্বে তার দল মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করে। দুপুরে উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে বিশেষ দোনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আশাশুনি সরকারি কলেজ: সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কলেজ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৮ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষক/কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, এরপর একটি র্যালি নিয়ে শহীদ স্মৃতি সৌধে সরকারিভাবে ৯ টায় পুষ্পমাল্য দান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করা, সকাল সাড়ে ৯ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি হাইস্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুজকাওয়াজে অংশগ্রহন করা, সকাল সাড়ে ১০ টায় কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. আবুল কালাম আজাদ। প্রভাষক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন, অধ্যাপক মু. হোসেন আলী, জাকির হোসেন ভুট্টো, শাহাদাৎ হোসেন টিটল, ইছাহাক আলী, আকতারুজ্জামান প্রিন্স, শিরিন বাহার যুথীসহ আশাশুনি সরকারী কলেজের প্রভাষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করে তা বাস্তবায়ন করার খবর পাওয়া গেছে।