
আরিফুল ইসলাম, মনিরামপুর প্রতিনিধি: সীতাকুন্ড অগ্নিদগ্ধ ফায়ারম্যান গাউসুল আজমের (২৪) মৃত্যুতে গোটা পরিবারসহ স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ১২ জুন ২০২২ খ্রি. ভোর-রাত ০৩-০০ ঘটিকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ট্রিটমেন্ট ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন গাউসুল আজম। একই দিন বিকেল ০৩-০০ ঘটিকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে তাঁর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন, উপসচিব জনাব জাহিদুল ইসলাম, মরহুমের পরিবারের সদস্যগণ এবং ফায়ার সার্ভিসের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন এবং ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানাযা নামায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শহিদ ফায়ারফাইটার গাউসুল আজমের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এর পর তিনি শহিদ গাউসুল আজমের উদ্দেশে সশ্রদ্ধ অভিবাদন জ্ঞাপন পর্বে অংশগ্রহণ করেন। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে সকলকে শহিদ ফায়ারফাইটার গাউসুল আজমের জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করে শোনানো হয়। রোববার (১২জুন) রাত ১২টায় যশোরের মনিরামপুরের খাটুয়াডাঙায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এবং গাউসুলের মৃত্যুর খবর শুনে যশোরের মনিরামপুরে গ্রামের বাড়িতে শুরু হয় স্বামী, ছেলে, আবার কারও ভাই বা স্বাজন হারানো হ্দয় বিদারক আহাজারি। শুধু গাউসুলের একমাত্র সন্তান ছয় মাস বয়সী অবুঝ শিশু সিয়াম জানে না যে সে বাবাকে হারিয়েছে। এরপর গাউছুলের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় খাটুয়াডাঙা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। যেখানে জড়িয়ে আছে মনিরামপুরের কৃতি সন্তান গাউসুলের শৈশবের স্কুল জীবনের সৃতি। সেই স্কুল মাঠেই ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় ও যশোর জেলার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সংগঠনের ব্যাক্তিবর্গ। এরপর কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রাত সাড়ে ১১টায় পড়ানো হয় গাউসুলের শেষ জানাযা। জানাযা শেষে গাউসুলের মরদেহ পুনরায় নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। এবং রাত ১২টায় পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয় অগ্নিযোদ্ধা গাউসুলের নিথর দেহ।