
নিজস্ব প্রতিবেদক: নানা- নানি মা, আব্বা ছাড়া আমাকে কেউ দেখে না । স্কুলে যেতে পারিনা সবাই খেলে স্কুলে যায় আমি ঠিক মত বসতেও পারিনা। অন্য বন্ধুদের মতো খেলতে পারি না। কোনো কাজ করতে পারি না। মাত্র ৯ বছর বয়সী ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী কেয়া মনি খুব নিচু সুরে কথাগুলো বলছিল। তার ছোট্ট বুকটা চিরে বের হয়ে আসছিল হাহাকার। জন্মের পরে টিকা দেওয়ার সময় সেই স্থান টি ইনফেকশন হয় তারপর টিউমার। দুইবার সাতক্ষীরা সিটি ক্লিনিকে অপারেশনের পরও পায়ে পচন ধরতে শুরু করলে আবারও অপারেশন করতে হয়। বর্তমানে তার পররিবার অসহায় হয়ে পড়েছে চিকিৎসার খরচ বহন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ঠিক মত ঔষধ না খেলে একটি পা অচল হয়ে যেতে পারে।
সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পায়রাডাঙা গ্রামের মনিরুজ্জামানের মেয়ে। কেয়া মনির বাবা মা দুজনেই ইটভাটা শ্রমিক থাকেন শশুর বাড়ি। নানা আব্দুল হামিদ ভ্যান চালিয়ে যেটুকু রোজগার করেন সেটা দিয়ে চলে কোন রকম। কেয়া মনির নানার একটি পা অচল প্রায়, গ্যাংগ্রিণ এর মত মারাত্কক ক্ষত নিয়ে নাতির মুখের দিতে তাকিয়ে ভ্যান চালান তিনি। এমন অমানবিক দৃশ্য যে কারো বিবেক কে নাড়া দিবে।
এ ব্যাপারে পায়রাডাঙার ইউপি সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলামের কাছে কোন সহযোগিতা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আব্দুল হামিদ এর সমস্যা সম্পর্কে জানি তবে তার যে নাতনির এমন সমস্যা সেটা আমি শুনিনি। স্থানীয় অনেকে বলেন তার বাবা-মা খুবই গরীব। শশুর বাড়ির ভিটায় বসবাস করেন। মেয়েটার চিকৎসার পেছনে অর্থ ব্যায় করে সর্বশান্ত হয়ে গেছে এখন যদি তার ঔষধ কেনার মত কোন উপায় হতো তাহলে মেয়েটা সুস্থ হয়ে স্কুলে যেতে পারতো। এব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পরিবারটি।